নয়াদিল্লি: রবিবার থেকে ক্রমশই অগ্নিগর্ভ হয়েছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির পরিস্থিতি। বিক্ষোভের জেরে বেড়েছে আতঙ্কের আবহ। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে প্রতিদিন। মঙ্গলবারই ৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে দিল্লির সংঘর্ষে। বুধবার সকালে আরও ৫ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। মঙ্গলবার ৫টি মেট্রো স্টেশনে পরিষেবাও বন্ধ ছিল। তার জেরে সিবিএসই পরীক্ষার্থীদের মনে আশঙ্কার মেঘ তৈরি হয়েই ছিল।
উত্তরপূর্ব দিল্লিতে সিবিএসই-র ৮৬টি সেন্টার। ২৬ ফেব্রুয়ারি দশম শ্রেণির ইংলিশ পরীক্ষা ও দ্বাদশের অপশনাল বিষয়ের পরীক্ষা।
দিল্লির অন্যান্য অঞ্চলে নির্ধারিত দিনেই পরীক্ষা হলেও উত্তরপূর্ব দিল্লির পরীক্ষা ওই দিন স্থগিত থাকবে। ওই পরীক্ষা কবে নেওয়া হবে, শীঘ্রই জানাবে সিবিএসই কর্তৃপক্ষ।
পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবারই দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, বুধবার হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলি বন্ধ থাকবে।
সিএএ-সংঘর্ষে এখনও উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসা অব্যাহত। টানা তিন দিন সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭, খবর এএনআই সূত্রে। জখমের সংখ্যা ১৯০। মঙ্গলবার রাতেও কয়েকটি জায়গায় গাড়িতে আগুন ধরানো হয়।

পূর্ব দিল্লির দিল্লির ভাই পরমানন্দ বিদ্যা মন্দির স্কুলের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির কিছু ছাত্র আদালতে আবেদন জানায়, তাদের সিবিএসই পরীক্ষার কেন্দ্র স্কুল থেকে ১৬ কিমি দূরে এবং তা চান্দু নগর রোডে অবস্থিত। এই এলাকা সংঘর্ষের কারণে বিপর্যস্ত। পড়ুয়ারা কোর্টের কাছে আবেদন জানায়, যাতে বোর্ড তাদের অন্য কোনও কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। আদালতও বোর্ডকে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার এই মামলার ফের শুনানি।.