কলকাতা: বয়স ৮৫। করোনা আবহে প্রতি পদক্ষেপে আক্রান্ত হওয়ার ভয়। সরকারি নির্দেশ, অভিনেতার বয়স ৬৫র বেশি হলেই মুচলেখা দিয়ে শ্যুটিং করতে আসতে হবে। ক্রমেই প্রসারিত হচ্ছে করোনার থাবা। তারই মধ্যে নিজের কাজে অবিচল তিনি। অনেক প্রবীণ অভিনেতাই আপাতত বিরতি নিয়েছেন কাজে। কিন্তু তিনি করোনা পরিস্থিতিতেই অভিনয় করেই চলেছেন।


লকডাউনের আগেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বায়োপিক 'অভিযান'-এর শুটিং শুরু করেছিলেন পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। একটি পর্যায়ে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সৌমিত্র নিজেই। রোজ সময়মতো শুটিং স্পটে পৌঁছে যেতেন মাস্ক পরে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই শট দিতেন। অক্ষরে অক্ষরে মানা হয় করোনা-বিধি।


পরিণত বয়সের সৌমিত্রের চরিত্রে অভিনেতা নিজেই অভিনয় করছেন। আর যুবক সৌমিত্রের ভূমিকায় যীশু। সম্প্রতি শেষ হল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত অংশটি। শুটিংয়ের এই পর্ব শেষ করে কিছুটা নস্টালজিক পরিচালক পরমব্রত।


পরমব্রত লিখলেন, ''প্রচার এর দায়িত্ত্বে যা শেয়ার করতে হয় অন্তর্জালে তার বাইরে কাজ নিয়ে খুব বেশি লেখালেখি করার অভ্যেস থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি কিন্তু এই ছবিটি দেখাবার লোভ সামলাতে পারলাম না গতকাল আমাদের 'অভিযান' ছবির সৌমিত্র বাবুর অংশটি র চিত্রায়ন শেষ হলো আড্ডা দিতে দিতে জীবন কাহিনী এবং দর্শন বোঝার দিন গুলো থেকে শুট , মাঝপথে অতিমারী , অচলাবস্থা , তারপর আবার বিপুল টেনশন এবং ভয় নিয়ে এই সাম্প্রতিক শুট ... অনেকটা সময় , অনেক মুহূর্ত , অনেক গল্প , অভিজ্ঞতা , মতের মিল অমিল সব শেয়ার করলাম অশীতিপর এই মানুষটির সঙ্গে অনেক পেলাম সবথেকে বেশি পেলাম সাহস সেইরকম ই একটি মুহূর্ত এখানে ...'' *(বানান অপরিবর্তিত)




এবছর জানুয়ারি মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘অভিযান’ সিনেমাটি তৈরি করার কথা বলেন পরমব্রত। লকডাউনের আগেই ছবির শুটিং অনেকটা হয়ে গিয়েছিল। পরে করোনা পরিস্থিতিতে স্থগিত হয়ে যায় শুটিং। অগস্টের মধ্যেই ছবিটির শুটিং শেষ করতে চাইছেন, জানিয়েছিলেন পরম।