রঞ্জিৎ হালদার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা: নাকা তল্লাশির (naka checking) সময় গাড়ি (car) থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ (huge amount) অর্থ (money)। গ্রেফতার (arrest) করা হয় ২ জনকে। বারুইপুর টং তলার ঘটনা। 


কী ঘটেছিল?
গত কাল রাতে বারুইপুর টং তলাতে নাকা তল্লাশি চালানোর সময় একটি ভাড়া গাড়ির মধ্যে থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হয়। কোথা থেকে এল এই অর্থ? কোন উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? কোথায়ই বা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য ছিল? তদন্তকারীদের একাংশের বক্তব্য, প্রশ্নগুলির উত্তর স্পষ্ট ছিল না। এর পরই গ্রেফতার করা হয় ওই গাড়ির চালক অভিজিৎ নস্কর ও নবীন কুমার সিং নামে এক ব্যক্তিকে। নবীনের কাছে থাকা একটি কাপড়ের ব্যাগ থেকেই চার লক্ষ অষ্টাশি হাজার টাকা উদ্ধার হয়।ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। আজ তাঁদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। এর আগে হাওড়ায় ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে হইচই পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। 

শহরে টাকা...
গত জুলাই মাসে পাঁচলা-রানিহাটি মোড়ে কংগ্রেস বিধায়কের বোর্ড লাগানো গাড়ি আটকাতেই নোটের বান্ডিল উদ্ধার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়কক, রাজেশ কচ্ছপ, নমন বিক্সল কোঙারি এবং ইরফান আনসারিকে। রাজেশ কচ্ছপ ঝাড়খণ্ডের খিজরি, নমন বিক্সল কোঙারি কোলেবিড়ার বিধায়ক। গাড়িতে লাগানো জামতাড়ার কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারির নামে বোর্ড।  কোথা থেকে কোথায় টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জানা যায়, বিপুল পরিমাণ টাকার কোনও নথি দেখাতে পারেননি অভিযুক্তরা, দাবি পুলিশের। ‘ইডি কি শুধু ব্যক্তিবিশেষে তৎপর হয়?’ ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়কের গাড়িতে টাকা উদ্ধারে কটাক্ষ করে তৃণমূলের। এর পর অগাস্টে লালবাজার থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে সিআইডি। ৩ লক্ষ ৩১ হাজারের বেশি টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি আড়াইশো রুপোর কয়েন উদ্ধার হয়। টাকা-সহ ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়কের গ্রেফতারির তদন্তেই সেখানে তল্লাশি চালিয়েছিলেন সিআইডি। অক্টোবর মাসে আবার হাওড়ায় ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা ও সোনার গয়না উদ্ধারের ঘটনায় সাড়া পড়ে গিয়েছিল গোটা রাজ্যে। বাড়ির গ্যারাজে রাখা গাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা ও সোনার গয়না উদ্ধার করেছিলেন গোয়েন্দারা। লালবাজারে বেসরকারি ব্যাঙ্কের তরফে অভিযোগ জানানো হয়। একটি অ্যাকাউন্টে হঠাৎ মোটা টাকার লেনদেন সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে তথ্য দেওয়া হয়। সেই মামলার তদন্তে নামে লালবাজারের সাইবার ও অন্যান্য বিভাগের গোয়েন্দারা। শিবপুরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। কলকাতা পুলিশের অভিযানে ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার ২ কোটি টাকা ও সোনার গয়না। 


আরও পড়ুন:সিবিআইয়ের জালে বগটুই-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন