রাঁচি: ঝাড়খন্ডে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সূচনা করে কংগ্রেসকে তোপ অমিত শাহের। কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলায় বাধা দিয়েছে, নিজের ভোটব্যাঙ্ক টিকিয়ে রাখার ‘লোভে’ ৭০ বছর ধরে কাশ্মীর সমস্যা জিইয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি সভাপতি। মানিকা, লোহারডাগার জনসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অযোধ্যা ইস্যুতে বলেন, এতগুলি বছর এই রায় আসেনি। আমরাও সংবিধানের চৌহদ্দির মধ্যেই এই বিতর্কের মীমাংসা চেয়েছিলাম। এখন দেখুন, কীভাবে ভগবান রামের আশীর্বাদে সুপ্রিম কোর্ট বিরাট রামমন্দির তৈরির পথ মসৃণ হল। সকলে অযোধ্যায় রামমন্দির চেয়েছিলেন, কিন্তু কংগ্রেস বাধা দিয়েছে।
কংগ্রেস সাত দশক ধরে কাশ্মীর সমস্যা নিরসনে দেরি করিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, মোদীজী (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) ‘ভারত মাতা’র মুকুটের মণি থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদের কালিমা মুছে দিয়েছেন।
ইস্যুটিকে তাঁরা কতটা গুরুত্ব দেন, বোঝাতে শাহ বলেন, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে প্রথম সংসদ অধিবেশনেই ৩৭০ ও ৩৫ এ অনুচ্ছেদ বাতিল করেছে মোদী সরকার।
ঝাড়খন্ডে কংগ্রেস-জেএমএম জোট দুর্নীতিতে মদত দিচ্ছে, গরিব ও আদিবাসীদের বোকা বানাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শাহ। বলেন, জেএমএম নেতৃত্ব কয়েক হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে, আর রঘুবর দাশের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার স্থায়ী সরকার উপহার দিয়ে রাজ্যকে উন্নয়নের রাস্তায় এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেনকে প্রশ্ন করা উচিত, কোন দলের হাত ধরেছেন তিনি, যারা ৭০ বছর আদিবাসীদের বোকা বানিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি, রাহুল গাঁধীকেও আদিবাসীদের জন্য তাঁরা কী করেছেন, প্রশ্ন করতে চাই। বিজেপি মানুষকে হিসাব দেবে, রাজ্যের জন্য কী করেছে। কেন কংগ্রেস মানুষকে বিদ্যুত্, রান্নার গ্যাসের সংযোগ, স্বাস্থ্য কার্ড, শৌচাগার, ঘর দিতে পারেনি, প্রশ্ন তোলেন শাহ।
ঝাড়খন্ডকে নকশালি হিংসা থেকে মুক্ত করার জন্য রঘুবর দাস সরকারের প্রশংসা করেন তিনি, বলেন, বর্তমান বিজেপি সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য এটি।
বিজেপি তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে একটি কমিটি গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যারা ক্ষমতায় আসার পর পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীগুলির সংরক্ষণের শতাংশ হার বাড়ানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। শাহ বলেন, ঝাড়খন্ডের সামাজিক বিন্যাসে পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও জনসংখ্যার অনুপাতে সংরক্ষণ পায় না তারা।