Ananada Sakal 4: সাগরে বিধিভঙ্গের ছবি, ভোর থেকেই সৈকতে জনজোয়ার মাস্কহীনদের| Bangla News
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির দোমহনিতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। আহত হয়েছেন ৩৬ জন। তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল ও জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। রাত তিনটে নাগাদ বিকানের এক্সপ্রেসের S10 কামরা থেকে এক যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এদিকে, উদ্ধারকাজ শেষ, এখন লাইন পরিষ্কারের কাজ চলছে। কুয়াশার মধ্যেই রেল লাইন থেকে ইঞ্জিন ও দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ৮টি কামরা সরানোর কাজ চলছে। আজ সকালে দুর্ঘটনাস্থলে আসেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা।
ভোর হতে না হতেই গঙ্গাসাগরের সৈকতে জনজোয়ার। আলো ফোটার আগেই ফুটে উঠল বিধিভঙ্গের ছবি। কাতারে কাতারে পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন সমুদ্র সৈকতে। চলছে পুণ্যস্নান। ঘুচেছে দূরত্ববিধি। মুখে নেই মাস্ক। কেন মাস্ক পরেননি? প্রশ্ন করতেই হাজারো যুক্তি দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। সবাই যাতে কোভিডবিধি মেনে চলে, সেজন্য মাইকে অনবরত প্রচার করে চলেছে পুলিশ-প্রশাসন। তা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষণ নেই কারও মধ্যেই। ফলে জনবিস্ফোরণের কাছে পুলিশ কার্যত দর্শকের ভূমিকায়। আগের রাত অবধি দেখা যাচ্ছিল মাস্ক পরে আছেন কিছু ব্যক্তি। ভোর হতেই উল্টে গেল ছবিটা। ব্যতিক্রমী কিছুজন মাস্ক পরে আছে। উধাও দূরত্ববিধি।
মকর সংক্রান্তির সকালেও বাবুঘাট থেকে পুণ্যার্থী বোঝাই বাস রওনা দিল গঙ্গাসাগরের উদ্দেশে। কিন্তু, বাসস্ট্যান্ডে যথেষ্টই ঢিলেঢালা ছিল নজরদারি। চেক করা হচ্ছে না RTPCR টেস্টের রেকর্ড। শুধুমাত্র ভ্যাকসিনেশনের কাগজ দেখেই পুণ্যার্থীদের গঙ্গাসাগরে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, আজ সকাল থেকেই পুণ্যস্নান চলছে বাবুঘাটেও।
সবে জমায়েত শুরু হয়েছে। এখনও পুণ্যস্নান বাকি। এখনই রাজ্যের সংক্রমণ উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছেছে। আর গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হলে, এই লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী যখন বাড়ি ফিরবেন, তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে না তো? এমনও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।
রাজ্যে একদিনে করোনায় আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। ৭ মাসে সর্বাধিক দৈনিক সংক্রমণ দেশে। উৎসবের মরসুমে সতর্ক থাকতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
দুই মেদিনীপুরে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। তারপরও ক্রেতা, বিক্রেতাদের বড় অংশের মাস্ক পরার অনীহা রয়ে গেছে। সচেতন করতে পথে নামেন বিধায়ক, পুর প্রশাসক। করোনা সতর্কতায় বারুণী মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে।
করোনা আবহে গঙ্গাসাগরে স্নান হোক বা না হোক, মকর সংক্রান্তিতে পিঠে হতেই হবে। অভিনেত্রী তনিমা সেনের বাড়িতে নতুন পিঠের খোঁজে এবিপি আনন্দ।
কৌতুকের ছলে দেখে নেওয়া রাজনীতির নানা ঘটনা। এই নিয়েই আমাদের রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্র। কেস দেবেন না প্লিজ!