Mamata Banerjee: 'এত ক্ষতি হয়, কেন্দ্র কোনও ক্ষতিপূরণ দেয় না', আক্রমণ মমতার | ABP Ananda Live

Continues below advertisement

ABP Ananda Live: 'নিচু এলাকা থেকে ২ লক্ষ ১৬ মানুষকে সরানো হয়েছে'। 'কয়েকটি জেলায় কাঁচা বাড়ি ভেঙেছে, চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে'। 'জেলাশাসকদের সার্ভে করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে'। 'চাষিরা যাতে শস্যবিমা পান, সেই ব্যবস্থা করতে হবে'। নদীতে ড্রেজিং করতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। 'মাটি দিয়ে বাঁধ মেরামতি করা যাবে না'। 'সুন্দরবন এলাকায় আরও বেশি ম্যানগ্রোভ লাগাতে হবে'। '২ বছরের মধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শেষ করতে হবে'। 'বাংলাকে বন্যা, ঝড়ের জন্য কোনও ক্ষতিপূণ দেওয়া হয় না'।

ঝড়ের তাণ্ডব থেকে রেহাই পেলেও ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলা। বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুরের বিঘার পর বিঘা চাষের জমি জলের তলায়। জমা জলে পড়ে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের।

পূর্ব মেদিনীপুরের ফুল চাষি বাসুদেব গোস্বামী বলেন, '৫ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে চাষ গোলাপ চাষ করেছিলাম। জানি না কী করে শোধ করব। মৃত্যু ছাড়া কোনও উপায় নেই।' পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষক দুর্গা জানা বলেন, 'পাকা ধান নষ্ট হয়ে গেছে। আলু শেষ। সব সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।' 

জলে ডুবে আছে ধান গাছ। সবজির জমিতেও জল থৈ থৈ করছে। আর কদিন পরেই ধান কাটার সময়। তার আগে মাথায় হাত কৃষকদের। ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায়।  

বাঁকুড়ার কোতুলপুরে কংসাবতী সেচ ক্যানাল ভেঙে হরিহট্টপুর মৌজা সংলগ্ন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। কোতুলপুরের কৃষক কালু রায় বলেন, 'ক্যানেলটি কোনোরকম সংস্কার করা হয়নি এবং রক্ষণাবেক্ষণেরও অভাব রয়েছে। গাফিলতি রয়েছে সেচ দপ্তরের। যার জেরে ক্যানেলের পাড় ভেঙ্গে বিপত্তি।' 

Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram