Malda News: মালদায় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্য়া বেড়ে হল চার
ABP Ananda Live: মালদায় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের খুনের ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্য়া বেড়ে হল চার। এদের মধ্য়ে দুজন সুপারি কিলার বিহারের বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে পাঁচটা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের জেরা করে জানা গেছে, তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতিকে খুনের আগে, রীতিমতো রেকি করা হয়েছে। দশ দিনেরও বেশি সময় ধরে তারা মালদায় ঘাঁটি গেড়েছিল। নজর রাখা হচ্ছিল দুলাল সরকারের গতিবিধির ওপর। এই পরিস্থিতিতে, মালদারই আরেক তৃণমূল নেতা কৃ্ষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী দাবি করেছেন, দুলাল সরকারকে খুনের জন্য়, দশ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল। ঘুরিয়ে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন তিনি। নিহত নেতার স্ত্রীও বলছেন, এর পিছনে অনেক মাথা আছে। কিন্তু প্রশ্নটা হল, খুনের সুপারিটা দিল কে?
পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাত্র ৫১ কিলোমিটার দূরে, অসমের কোকরাঝাড়ে ঘাঁটি গেড়ে, বড়সড় কোনও ছক কষছিল আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গিরা। নদীর চরকে কাজে লাগিয়ে, তৈরি হয়েছিল জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এই প্রথম, জঙ্গিদের সেই ঘাঁটির একেবারে ভিতরে পৌঁছল এবিপি আনন্দ। এখনও সেখানে রয়েছে বাঁশের কাঠামো, ত্রিপলের আচ্ছাদন। যেখানে আগ্নেয়াস্ত্র চালানো, IED-র ব্যবহার শেখানো হত বলে গোয়েন্দাদের অনুমান।
চূড়ান্ত ভারত-বিদ্বেষী আবহের মধ্যেই, বাংলাদেশে বসে এভাবেই ভারতকে টুকরো করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন জঙ্গি নেতারা। নিশানা করা হচ্ছে 'সেভেন সিস্টার্স' ও 'শিলিগুড়ি করিডর'কে যা 'চিকেনস নেক' বলে পরিচিত। আর এই আবহেই অসমে বাংলাদেশি জঙ্গিদের ঘাঁটিতে পৌঁছল এবিপি আনন্দ। জঙ্গিদের ট্রেনিং ক্য়াম্পে প্রথমবার ঢুকল সংবাদমাধ্য়মের ক্য়ামেরা। পশ্চিমবঙ্গের ঘাড়ে কার্যত কীভাবে নিঃশ্বাস ফেলছিল বাংলাভাষী জঙ্গিরা। গ্রাউন্ড জিরো থেকে তাই তুলে ধরল এবিপি আনন্দ। অসমের কোকরাঝাড় থেকে এবিপি আনন্দর এক্সক্লুসিভ রিপোর্টে উঠে এল ভয়ঙ্কর তথ্য।