Nabanna: আজ নবান্নের ১৩ তলায় বিকেল সাড়ে চারটেয় DA বৈঠক
হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আজ ডিএ (DA) আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য সরকার। বৈঠকে আন্দোলনকারীরা ছাড়াও থাকতে পারেন মুখ্যসচিব ও অর্থসচিব। আজ নবান্নের ১৩ তলায় বিকেল সাড়ে চারটেয় বৈঠক।
ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে লাগাতার আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন। ১৭ এপ্রিলের মধ্যে কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে বৈঠকে বসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।মুখ্যসচিব, অর্থসচিব সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকদেরকে বৈঠকে বসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে এই সময়সীমার মধ্যে ২ পক্ষের বৈঠক হয়নি। এরপর, চলতি সপ্তাহের সোমবার দ্রুত সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। হাইকোর্টের সেই নির্দেশ মেনে আগামীকাল ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য সরকার।
বিচারপতি বলেন, “শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার।’’ রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়, কর্মচারীদের তরফ থেকে ৫ জনের নাম দেওয়া হয়েছে। আমরা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। দিন স্থির করে ১০ দিনের মধ্যে কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে রাজ্য, নির্দেশ দেয় আদালত। আলোচনায় বসার সময় কত মহার্ঘ্য ভাতা বকেয়া রয়েছে? এখানে কত পরিমাণে পরিমানে মহার্ঘ ভাতা পাওয়া যায় সেগুলি সরকারকে মাথায় রাখতে হবে। কারণ কর্মচারীদের অভিযোগ এখানে তাঁরা শতাংশের হিসাবে একক সংখ্যার মহার্ঘ্য় ভাতা পান। যেখানে পাশের রাজ্যগুলিতে শতাংশের হিসাবে দুই অঙ্কের মহার্ঘ্য ভাতা পাওয়া যায়। মন্তব্য করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এর আগে একাধিকবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তা নিয়ে সরকার ও কর্মচারীদের মধ্যে টানাপোড়েন কম হয়নি। সোমবার পর্যবেক্ষণে টি এস শিবজ্ঞানম বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন। আদালত আশা করে মামলা চলাকালীন কর্মচারীরা কর্মবিরতির পথে যাবেন না।’ হাইকোর্টের সোমবারের রায়ে খানিকটা হলেও আশাবাদী সরকারি কর্মচারী সংগঠন। ডিএ-র দাবি নিয়ে শহিদ মিনারের সামনে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। আদালতের নির্দেশের পর রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকে কি বেরিয়ে আসবে সমাধানের পথ?