Kolkata: দিল্লিতে কুস্তিগীরদের হেনস্থায় কলকাতায় প্রতিবাদ জানাল SUCI

Continues below advertisement
দিল্লির প্রতিবাদের ছায়া এবার তিলোত্তমায়। প্রতিবাদের চেনা ছবি। শুধু শহরটা আলাদা। শাসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়া। সঙ্গে পুলিশি জুলুমবাজির অভিযোগ! ২৪ ঘণ্টা আগে রাজধানী যে কারণে উত্তাল হয়ে উঠেছিল, সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়াল কলকাতায়। প্রতিবাদের সেই একই দৃশ্য দেখা গেল কলকাতার রাজপথেও। রাজভবনের সামনে।
 
দিল্লিতে কুস্তিগীরদের হেনস্থায় কলকাতায় প্রতিবাদ জানাল SUCI । পুলিশও আটকাল প্রতিবাদ মিছিল। ব্যারিকেড ভেঙে রাজভবনে ঢোকার চেষ্টা হল। পুলিশের সঙ্গে বচসা উঠল তুঙ্গে। প্রতিবাদীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে ছড়াল উত্তেজনা। বিক্ষোভকারীদের টেনে হিঁচড়ে, পাঁজাকোলা করে প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ (Police)।
 
রবিবার নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধনের দিনেই আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের কর্মসূচি ঘিরে যন্তরমন্তরে তুলকালাম বেধে যায়। ভিনেশ ফোগত, সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া-সহ বেশ কয়েক জন আন্তর্জাতিক পদকজয়ী কুস্তিগির সহ ১০৯ জনকে টেনে হিঁছড়ে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশে হেনস্থার অভিযোগে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। প্রতিবাদে মঙ্গলবার দেশজুড়ে কালাদিবস পালন করছে এসইউসিআই। তার অংশ হিসেবে এদিন রাজভবন অভিযান করে তারা। পুলিশ বাধা দিলে ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন এসইউসিআই কর্মী-সমর্থকরা।
শুরু হয় পুলিশ ধরপাকড়।
 
আন্তর্জাতিক পদকজয়ী কুস্তিগীরদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, পুলিশকে নিগ্রহ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। খালি করে দেওয়া হয়েছে যন্তর মন্তর চত্বর। আন্দোলনকারী কুস্তিগীরদের সেখানে আর ধর্নায় বসতে দেওয়া হবে না বলেও পুলিশ জানিয়েছে। আন্দোলন চলবে বলে পাল্টা জানিয়েছেন কুস্তিগীররা।
 
রবিবারই অলিম্পিক্সে পদকজয়ী কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন । তাঁকে রবিবার আটক করে পুলিশ। প্রিজন ভ্যানের ভেতর থেকে সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষী বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যাচ্ছিলাম। পুলিশ আমার পোশাক ছিঁড়ে দিয়েছে। খুব বাজেভাবে মারধর করেছে। আমার হাতে চোট লেগেছে।'
 
প্রতিবাদে ফেটে পড়েন অলিম্পিক্স পদকজয়ী কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া। বলেন, 'ওকে পদ্মশ্রী দিয়েছে। তার সম্মানটুকুও দিচ্ছে না। পদকের সম্মানও দিচ্ছে না।' যোগ করেন, 'আমরা পুলিশকে চিঠি দিয়েছিলাম। অনুমতি চেয়েছিলাম। আমরা সাধারণ নাগরিক। অনুমতি না দিলেও আমরা রাস্তায় হাঁটতে পারি। কেন আটকানো হল?
 
যন্তর মন্তরের এই ঘটনায় কুস্তিগীরদের সমর্থন জানিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এম কে স্ট্যালিন, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী-সহ নেতানেত্রীরা।
 
 
Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram