TMC: আজ মমতা-নীতীশ বৈঠক, কী প্রসঙ্গে আলোচনা ?
Continues below advertisement
শহরে পৌঁছলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রাজনৈতিক মহলের বিশ্বাস, ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে বিরোধী ঐক্যে সলতে পাকাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। আজ নবান্নে দুই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক। নীতীশের সঙ্গে আসেন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবও। সূত্রের খবর, নীতীশ-মমতা আলোচনায় জাতীয় রাজনীতি ও বিজেপি বিরোধী জোটগঠনের প্রসঙ্গ উঠে আসতে পারে। দুপুরের নবান্নে বৈঠকের পর আজ সন্ধেয় উত্তরপ্রদেশে রওনা দেবেন নীতীশ কুমার। সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর।
এর মধ্যেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, নেতা রাহুল গান্ধী, আপ প্রধান ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের মতো নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নীতীশ কুমার। অন্যদিকে, আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে একজোট করতে তৎপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গত মাসেই কালীঘাটে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব। 'দেশের গণতন্ত্র কীভাবে বাঁচানো যাবে, তা নিয়ে আমরা একজোট হব। ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোনও দলের এমন আচরণ করা উচিত নয়, যাতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির ক্ষতি হয়', মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠকের পর বার্তা দিয়েছিলেন অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। কলকাতায় সমাজবাদী পার্টির কর্মসমিতির বৈঠক হয়। সেই উপলক্ষ্য়েই শহরে এসেছিলেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি ও উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। সেই কর্মসূচির ফাঁকে কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এরপর ওড়িশায় গিয়ে নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা হয়েছে জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্টালিনের সঙ্গেও। সূত্রের খবর, বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, মমতা-অখিলেশ বৈঠকে স্থির হয়েছিল, ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে প্রচার চালাবেন তাঁরা। মোদি সরকারের জনস্বার্থ বিরোধী নানা নীতির বিরুদ্ধে যৌথ কর্মসূচি নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে একজোট করার ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে কাজ করবেন তৃণমূল নেত্রী ও সমাজবাদী পার্টির সভাপতি। জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, একদিকে, বিজেপির বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি, মূল্যবৃদ্ধির সঙ্কট, বেকারত্ব, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহারের মতো অভিযোগে মোদি সরকারকে যখন বিরোধীরা চেপে ধরার চেষ্টা করছে, তখন বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে মোদি সরকারের অস্ত্র দুর্নীতির অভিযোগ। যা নিয়ে বাংলা-সহ রাজ্যে রাজ্যে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে তৃণমূল কতটা আগ্রহ দেখাবে, তাতে বড়সড় প্রশ্ন রয়েছে। ফলে এখনও বিরোধী ঐক্যের ছবিটা নড়বড়ে।
Continues below advertisement