TMC News: অভিষেককে সরকারে আনার দাবিতে পোস্টার, বিশৃঙ্খল আচরণের অভিযোগে বহিষ্কৃত ২ শিক্ষক নেতা
ABP Ananda Live: তৃণমূলে অভিষেক-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নেতাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পর, অনেকেরই স্মৃতিতে, এই কদিন আগে, নবীন-প্রবীন নিয়ে, তৃণমূলের সিনিয়র নেতাদের আকচা-আকচি। যেখানে বাগযুদ্ধে জড়িয়েছেন, হুমায়ুন কবীর-সৌগত রায়রা। অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে, সৌগত রায় বলেছিলেন, একই লোক চালাতে পারে নাকি? পার্টির ডে টু ডে চালানোর ক্ষেত্রে, একজন লোককে দায়িত্ব দিতে হয়। সেটাও অভিষেক। পাল্টা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের পাশে দাঁড়িয়ে ফিরহাদ হাকিম আবার বলেছিলেন, "যারা বড় বড় কথা বলে না, তাদের বলব যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিটা সরিয়ে দিয়ে একটা নির্বাচনে জিতে দেখাও।"
অশান্ত বাংলাদেশে এখনও আক্রান্ত হচ্ছে হিন্দুরা। প্রতিদিনই সামনে আসছে কোনও না কোনও ঘটনা। এই প্রেক্ষাপটে একবারে সংসদে দাঁড়িয়ে শিউড়ে ওঠার মতো তথ্য় দিল মোদি সরকার। একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং জানিয়েছেন, এবছর ৮ ডিসেম্বর অবধি, বাংলাদেশে হিনদু-সহ সংখ্য়ালঘুদের ওপর হামলার ২ হাজার ২০০টি ঘটনা ঘটেছে। পদ্মাপাড়ে হিনদুদের ওপর হামলা নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু, এবারের পরিস্থিতি কতটা মারাত্মক, সেটা পরিষ্কার হয়ে যায়, গত কয়েকবছরের পরিসংখ্য়ান পাশাপাশি রাখলেই।
বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর লিখিত উত্তরেই দেখা গেছে, ২০২২-এ বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্য়ালঘুদের ওপর হামলা ঘটনা ঘটেছিল ৪৭টি। ২০২৩-এ ৩০২টি। এবার ৮ ডিসেম্বর অবধি সেই সংখ্য়া পৌঁছে গেছে ২ হাজার ২০০-তে। বিদেশ প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী, হিনদু-সহ সংখ্য়ালঘুদের ওপর হামলার ঘটনার নিরিখে পাকিস্তানকেও ছাপিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এবছর অক্টোবর অবধি পাকিস্তানে সংখ্য়ালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ১১২টি। আর বাংলাদেশে ৮ ডিসেম্বর অবধি সেই সংখ্য়াটা ২ হাজার ২০০।