WB HS Result: রুমানা সুলতানাকে 'কন্যাশ্রী'র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করতে চায় মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন

Continues below advertisement

মেয়েটি শিক্ষার রত্ন, গতকাল আবেগের বশে বলেছি। উচ্চ মাধ্যমিকের সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক রুমানা সুলতানার 'ধর্ম উল্লেখ' প্রসঙ্গ নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের মাঝে শুক্রবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন সংসদ প্রধান মহুয়া দাস। বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণার সময় রুমানার নাম না উল্লেখ করলেও 'ধর্ম' জানিয়েছিলেন সংসদ প্রধান। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার বিতর্ক। তাঁর পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিবাদের মঞ্চ তৈরি হয়ে গিয়েছে পুরো বিষয়টি নিয়ে। এর মাঝেই নেহাত আবেগের বশে কথাগুলো বলেছিলেন, অন্য কোনও অভিপ্রায় তাঁর ছিল না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রধান।

গতকাল ফলাফল প্রকাশের সময় মহুয়া দাস বলেছিলেন, 'যিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন, একা। এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। কোনও র্যাঙ্ক বলছি না, সর্বোচ্চ নম্বর। সর্বোচ্চ নম্বর এককভাবে পেয়েছেন একজন মুসলিম কন্যা। মুসলিম। মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে একজন মুসলিম লেডি, গার্ল। তিনি এককভাবে ৪৯৯ সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন।' আর তাঁর যে বক্তব্য নিয়েই শুরু হয় ব্যাপক জলঘোলা। ইচ্ছাকৃত ধর্ম পরিচয় দিয়ে আখেরে ছাত্রীকে তিনি হেঁয় করতে চেয়েছেন বলেও একপক্ষ অভিযোগ শানায়। দাবি করে পদত্যাগেরও।

গোটা বিতর্ক নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের প্রধান মহুয়া দাস শুক্রবার বলেছেন 'সংসদের ইতিহাসে প্রথমবার এরকম ভালো রেজাল্ট কেউ করেছে। ওঁর কথা বলার সময় আবেগের বশে বেগম রোকেয়ার কথা মনে করছিলাম, যিনি এরকম একইভাবে লেখাপড়ায় ভালো এবং সাধারণ ঘরানা থেকে উঠে এসেছিলেন। সেই ভিত্তিতে সাংবাদিকদের তথ্য জানানোর সময় তাদের বুঝতে সুবিধার জন্য তথ্য হিসেবে বিষয়টা উল্লেখ করেছি। মেয়েটি শিক্ষার রত্ন, তাঁর গৌরব যাতে সংসদ সবার মধ্যে ভাগ করে নিতে পারে, সেই অভিপ্রায় থেকেই ওভাবে কথাগুলো বলেছিলাম।'

বিজেপির পক্ষে শমীক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, 'রুমানা সুলতানাকে শুধু নয় সামগ্রিকভাবে একটি সম্প্রদায়কে অসম্মান করা হয়েছে।' পাশাপাশি রাজ্য সরকারের দিকেও ঘুরিয়ে আঙুল তোলা হয়েছে তাদের পক্ষে। এদিকে তৃণমূলের নেতা তাপস রায় বলেছেন, 'ছাত্রী, পড়ুয়া এই পরিচয়ই যথেষ্ট। বাকি যা হয়েছে, সেটা না হলেই ভালো হত।'

 এদিকে গতকাল ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই সংবাদের শিরোনামে এসেছে রুমানা। কার্যত হইহই চারদিকে। আর এই কৃতী ছাত্রী রুমানা সুলতানাকেই জেলার 'কন্যাশ্রী'দের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবে পেতে চায় প্রশাসন। রুমানা যেন বাকি ছাত্রীদের কাছেও উদাহরণ হয়ে ওঠে সেদিকটাই কার্যত নিশ্চিত করতে চায় তারা।
 
Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram