আনন্দ লাইভ: তৃণমূলের ইস্তেহারে একগুচ্ছ অঙ্গীকার
আজ তৃণমূল কংগ্রেসের ম্যানিফেস্টো প্রকাশ করলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি ঘোষণা করেন, "রাজ্যের ১.৫ কোটি পরিবারকে বাড়িতেই রেশন সরবরাহ। বাংলার শহরাঞ্চলে ২৫০টি মা ক্যান্টিন নির্মাণ (৫ টাকায় খাবার)। শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যয় বরাদ্দ বাড়ানো। প্রতি ব্লকে একটি করে মডেল আবাসিক স্কুল। প্রত্যেক জেলা সদরে মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ। পাঁচ বছরে ৫ লক্ষ কোটি টাকার বিনিময়ে লক্ষ্যমাত্রা। বার্ষিত ৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা। স্টুডেন্স ক্রেডিট কার্ড। একর পিছু বার্ষিক ১০ হাজার টাকা সহায়তা। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চলবে। কৃষকদের বার্ষিক ভাতা, ১০ হাজার টাকা করা হবে। বাংলা আবাস যোজনায় আরও ২৫ লক্ষ বাড়ি তৈরি হবে। ২০১১-য় ক্ষমতায় আসার পর থেকে ১১০% কাজ করেছি। যে কাজ করেছি, সারা পৃথিবীর নজর কেড়েছি। কন্যাশ্রীকে ইউনিসেফ এক নম্বর প্রকল্পের পুরস্কার দিয়েছে। ১ কোটি ৭৫ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি করেছি। লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। করোনার জন্য একবছরে অনেক কাজ পিছিয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও অন্য় রাজ্যের তুলনায় আয় বেড়েছে। বাংলা আবাস যোজনায় আরও ২৫ লক্ষ বাড়ি। বছরে ৫ লক্ষ কর্মসংস্থানের লক্ষ্য। দুয়ারে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রতি পরিবারে নূন্যতম মাসিক আয় নিশ্চিত করতে প্রকল্প।
তিনি ঘোষণা করেন, "এই দশকে বাংলার বাজেট তিনগুন ২.৫৫ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। বাংলার মানুষের মাথাপিছু গড় আয় দু'গুণের বেশি বেড়েছে। এই বাংলাকে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে গড়ে তোলা এবং ৩৫ লক্ষ মানুষকে চরম দারিদ্র থেকে উদ্ধার করার লক্ষ্য নিয়েছে। মে মাস থেকে ১৮ বছর বয়স হলেই যে কোনও বিধবা, সব ধর্ম,বর্ণ মিলিয়ে সবাইকে এক হাজার টাকা করে বিধবাভাতা দেওয়া হবে। প্রতিবছর দুয়ারে সরকার চার মাস করে হবে। বাংলার প্রত্যেক পরিবারের জন্য নূন্য়তম মাসিক আয় সুনিশ্চিত করব একটি নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে। সেটিতে জেনারেল কাস্টদের পরিবারকে বার্ষিক ছয় হাজার টাকা ও তপশিলী জাতি-উপজাতির প্রত্যেক পরিবারেরকে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।"
এই ইস্তেহারের সমালোচনা করে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) বলেন, "২০১২ সালে ৯০ শতাংশ কাজ হলে দুয়ারে সরকার কেন? কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পকে তুলে ধরা হয়েছে তৃণমূলের ইস্তেহারে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলে রাজ্যের নামে করা হয়েছে। ১০০ দিনের কাজে বাংলা এক নম্বরে, প্রমাণ করে কাজ নেই। বাংলায় যে কর্মসংস্থানের জায়গা নেই, এটাই তার প্রমাণ। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের শিল্পনীতি, জমিনীতি নেই। শেষবেলায় তৃণমূলের ইস্তেহারের কোনও ভিত্তি নেই। তৃণমূলের ইস্তেহারে কর্মসংস্থান তৈরির নির্দিষ্ট দিশা নেই। আগামী প্রজন্ম কি শুধুই ২ টাকার চাল খেয়ে থাকবে? নাকি নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে চাল কিনে খাবে?"
অপসারিত হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার সৌম্য রায়। তৃণমূল প্রার্থী লাভলি মৈত্রের (Lovely Maitra) স্বামী সৌম্য রায়। "ভোটের কোনও কাজে থাকতে পারবেন না।" হাওড়া গ্রামীণের এসপিকে সরিয়ে নির্দেশ কমিশনের। হাওড়া গ্রামীণের নতুন এসপি শ্রীহরি পাণ্ডে।