Panchayat Election 2023: বাংলায় জারি হবে ৩৫৫ ধারা? মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ

Continues below advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের হিংসার (Panchayat Election 2023) মাঝেই সবুজ আবিরে ঢেকেছে বাংলা। আর ঠিক এমন একটা সময়েই বিতর্কের ঝড়। গতবছর 'ডিসেম্বর ডেডলাইন'-র কথা শোনা গিয়েছিল বঙ্গ বিজেপির (BJP) শীর্ষ নের্তৃত্ব সুকান্ত-শুভেন্দুদের মুখে। আর পঞ্চায়েত ভোটের পরে এবার ফের নয়া দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর(Shantanu Thakur)। তার বিস্ফোরক দাবি, 'আগামী ৫ মাসের মধ্যে রাজ্যে তৃণমূলের সরকার পড়ে যাবে।' মূলত বিজেপির পঞ্চায়েত ভোটের ফল কি আদৌ আশানুরূপ? সংগঠনের জোরে ভোট করাতে পেরেছে পদ্মশিবির? সত্যিই কি বাংলায় ভোট বেড়েছে বিজেপির? উত্তরবঙ্গ, জঙ্গলমহলে বিজেপি পিছিয়ে গেল কেন? বাংলায় কি জারি হবে ৩৫৫ ধারা? মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

এদিন দিলীপ ঘোষ বললেন, 'মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়াও গণতন্ত্র বিরোধী।' প্রসঙ্গত, একদিকে পঞ্চায়েত ভোটে 'বেলাগাম হিংসা' প্রসঙ্গে রাজ্যে ৩৫৫ ধারার দাবি নিয়ে বিতর্কের ঝড়। মূলত ওই ধারায় অন্তর্ভুক্ত করার ইস্যুতে নয়, বরং ওই ধারার জন্য পরিস্থিতি তৈরি করার মতো গুরুতর চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন কুণাল ঘোষ। তাও আবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা খোদ শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। অভিযোগটা কী ?

মূলত একটি অডিও ক্লিপ শুনিয়ে এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন কুণাল ঘোষ। কুণালের দাবি, 'শুভেন্দু বলছেন, ৩৫৫ ধারা জারির জন্য পরিস্থিতি তৈরি করাতে হবে। এই অডিও থেকে প্রমাণিত যে চক্রান্ত করছেন শুভেন্দু। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে শুভেন্দুকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেওয়া উচিত আদালতের', দাবি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। যদিও বিষয়টা এখানেই থেমে নেই।

অপরদিকে, রাজ্যে এসেছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্য রবিশঙ্কর প্রসাদ ইতিমধ্য়েই প্রশ্ন তুলেছেন, '৩৫৫-এর দাবি যুক্তি সঙ্গত, গণতন্ত্র বিপন্ন হলে দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রের। গণনাতেও খুন, জয়ী প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ না দিলে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি গণতন্ত্রকে লজ্জিত করেছেন। ভোট ঘিরে এত সংঘর্ষ, এত মৃত্যু, বোমা, গুলি, এটাই কি কাম্য?'  


এবার কথা হচ্ছে তাহলে কি শান্তনু-সুকান্তদের ভবিষ্যদ্বাণী মিলিয়ে কি সরকার পড়বে বাংলায়? এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন,'২০১৮-য় পুরো শক্তি দিয়ে লড়তে পারিনি। এবার বেশিরভাগ জায়গায় প্রার্থী দিতে পেরেছি। তৃণমূলও সেটাই দেখাতে চেয়েছিল, শেষ খেলা ওরা খেলতে চেয়েছিল।যেখানে তৃণমূল পারেনি, সেখানে সরকরি আধিকারিক ও বিডিও-রা করেছে। বহু জায়গায় জোর করে বিজেপিকে হারানো হয়েছে। বিজেপি জিতেছে, তৃণমূলকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।'

Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram