Dev Exclusive: অন্য ভাষার ছবির সামনে মাথা নিচু না করে সিনেমাহলে দর্শকদের ফেরাতে পেরেছি

Continues below advertisement

অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে চুপি চুপি ঢুকে পড়লেন তিনি। সবার চোখ তখন বড়পর্দায়, কেউ লক্ষ্যই করলেন না। কালো পোশাক পরা একজন কখন হল পেরিয়ে দ্রুত পায়ে মঞ্চের সিঁড়ি অবধি পৌঁছে গিয়েছে কেউ খেয়ালই করেননি। আলো জ্বলে উঠতেই স্বভাবসিদ্ধ উচ্ছ্বলতার মাইকের সামনে চলে এলেন তিনি। গোটা হল ফেটে পড়ল উচ্ছাসে, চিৎকারে। বেশ কয়েকজন অল্পবয়সী তরুণী একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন আনন্দে। কান পাতলে শোনা গেল.. কেউ একজন বলছেন, 'আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না।' মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই উচ্ছ্বাস উপভোগ করছিলেন তিনি, মুখে যেন প্রশ্রয়ের হাসি। চিৎকার একটু কমলে মাইকটা হাতে নিয়ে বলে উঠলেন, 'নমস্কার, আমি দেব (Dev)! ফের উল্লাসের শব্দে এক মুহূর্ত কথা থামিয়ে দিতে হল তাঁকে। 

এক মাস পেরিয়েও হাউজফুল 'টনিক' (Tonic)। রবিবার নন্দনে অনুরাগীদের চমকে দিতে হাজির হয়েছিলেন দেব স্বয়ং। হলের মধ্যের সেই আনন্দ, উচ্ছ্বাস কতটা ছুঁল দেবকে? হাসতে হাসতে দেব বললেন, 'আজ তো ছবি মুক্তির প্রথম রবিবার নয়, ৬ সপ্তাহ ধরে হাউজফুল হচ্ছে 'টনিক'। এই ছবিটা নিয়ে একটা অন্যরকম স্মৃতি আছে। 'টনিক' মুক্তি পেয়েছিল ২৪ শে ডিসেম্বর। ২০-২২ ডিসেম্বর থেকে আমরা নিয়মিত ফোন করতাম হল মালিকদের। বলতাম 'একটা শো দিন।' কেউ বলতেন আমাদের কাছে বড় হিন্দি ছবি আছে, কেউ বলতেন দক্ষিণী ছবি আছে। ভালবেসে, পায়ে ধরে যতগুলো শো পেয়েছিলাম, তাতেই ছবিটা রিলিজ করলাম। আজ ৬ সপ্তাহ পর 'টনিক'-এর ধারে কাছে কোনও ছবি নেই। আমি যতদিন বাঁচব, 'টনিক'-এর মুক্তির পিছনের লড়াইটা আমার মনে থাকবে। আমরা অন্তত বাংলা ছবির মানসম্মানকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছি।'

Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram