সিএএ-এনআরসি ঠেকাতে গঙ্গাসাগরে প্রার্থনা সুব্রত-শোভনদেবের, প্রচার জয়দেবের মেলাতেও, পাল্টা বিজেপি

Continues below advertisement
পৌষ সংক্রান্তির উৎসবেও রাজনীতির ছোঁয়া। বুধবার গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান করতে গিয়ে এনআরসি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, এখন বিপদ এনআরসি, সিএএ, মুখ্যমন্ত্রী পথে নেমেছেন, আমরা তো কমিউনিস্ট নই, তাই আসছি। এনআরসি-সিএএ যেন না হয় সেই প্রার্থনা করছি। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, সিএএ,এনআরসি, এনপিআর-এর বিরোধিতা করছি। চাইব এই আন্দোলন সফল হোক। মানুষ বিষয়টি বুঝুক। পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। বুধবার পৌষ সংক্রান্তিতে, নো এনআরসি-নো সিএএ লেখা ঘুড়ি ওড়ান হুগলির শ্রীরামপুরের তৃণমূলকর্মীরা। শ্রীরামপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর সন্তোষকুমার সিংহ বলেন, সিএএ-এনআরসি করে দেশের কোনও উপকার হবে না। সরকার বরং বেকারদের কথা ভাবুক, মূল্যবৃদ্ধি কি ভাবে কমবে সেটা নিয়ে ভাবুক। সিএএ এনআরসি বিরোধী প্রচারের সঙ্গে দিদিকে বলোর প্রচারও চলে ঘুড়ির মাধ্যমে। পাল্টা বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্যর দাবি, অমিত শাহ ঘুড়ি উড়িয়ে তৃণমূলের ঘুড়ি কেটে দিয়েছে। সিএএ-র বিরোধিতা করে যতই ঘুড়ি ওড়াক, পশ্চিমবঙ্গে মানুষ তৃণমূল থেকে সরে গেছেন। সিএএ হচ্ছেই।
রাজনীতির রং লেগেছে বীরভূমের কেঁদুলির বাউল মেলাতেও। কাটআউট, ফেস্টুনে জয়দেবের মেলায় জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রচার চালায় তৃণমূল। ইলামবাজারের তৃণমূল ব্লক সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, আমরা মনুষকে এর বিপদ সম্পর্কে বোঝাচ্ছি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে প্রচার করেছে বিজেপিও। যদিও, কেঁদুলির মেলায় রাজনীতির ছোঁয়া ভাল চোখে দেখছেন না জয়দেবের মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের একাংশ। বিজেপি-তৃণমূল প্রচার-পাল্টা প্রচারে যখন সরগরম কেঁদুলি, তখন জয়দেবের মেলায় এবারই প্রথম মঞ্চ বেঁধে বাউল শিল্পীদের এনে সম্প্রীতি-সৌহার্দের বার্তা দিচ্ছে বীরভূম জেলা পুলিশ।
Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram