পোলবায় দুর্ঘটনার সময় পুলকারের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় প্রায় ১০০ কিমি, জানাচ্ছে ফরেন্সিক, কোমার প্রথম ধাপে আহত দুই পড়ুয়া, বেপাত্তা চালক
Continues below advertisement
পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় আহত দুই পড়ুয়ার অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। দু’জনেই কোমার প্রথম ধাপে রয়েছে। এর মধ্যে কেজি-টু-এর পড়ুয়া ৬ বছরের ঋষভ সিংহর অবস্থা সবথেকে খারাপ। আজ সকালে তার ট্র্যাকিওস্টমি করা হয়েছে। শ্বাসনালীতে ছিদ্র করে নল ঢুকিয়ে ফুসফুসে জমে থাকা কাদাজল ট্র্যাকিওস্টমি করে বের করার চেষ্টা চলছে। এতদিন মুখে নল ঢুকিয়ে কাদাজল বের করা হচ্ছিল। দীর্ঘদিন এই প্রক্রিয়া চললে সংক্রমণের আশঙ্কায় এদিন ট্র্যাকিওস্টমি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিত্সকরা। পাশাপাশি, এক্সট্রা কর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন বা ECMO যন্ত্রের মাধ্যমে ঋষভের শরীরে অক্সিজেন-কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজ চলছে। কাদাজল বের করে একইসঙ্গে ফুসফুসকেও চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন চিকিত্সকরা। অন্য দিকে, ক্লাস ওয়ানের ছাত্র ৭ বছরের দিব্যাংশু ভকতের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সঙ্কট এখনও কাটেনি। দিব্যাংশুকে আজ সেন্ট্রাল লাইন করা হবে। এর মাধ্যমে শরীরে কত পরিমাণ জল রয়েছে, তা বোঝা যাবে। এছাড়াও, ছোট শিরার মাধ্যমে অনেক ওষুধ দেওয়া সমস্যা, তাই সেন্ট্রাল লাইনের মাধ্যমে বড় শিরা দিয়ে ওষুধ শরীরে ঢোকানো হবে। হুগলির পোলবায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত পুলকারের গতিবেগ ছিল প্রায় ১০০ কিলোমিটার! গতি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারায় বিপদ ঘনিয়ে আসে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহের পর এমনই বক্তব্য ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের। পুলকার দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ২ পড়ুয়া এসএসকেএমে চিকিত্সাধীন। দু’জনেরই জ্ঞান ফেরেনি বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। আহত পড়ুয়াদের মধ্যে ঋষভ সিংহ-কে রাখতে হয়েছে বিশেষ যন্ত্রের সাপোর্টে।
Continues below advertisement