Kunal Ghosh on Sedition Law: সম্প্রতি দেশের রাষ্ট্রশক্তি যেভাবে এর অপব্যবহার করছে তার থেকেই এই কথা উঠছে: কুণাল ঘোষ
"রাষ্ট্রদ্রোহ আইন আসলে একটি ঔপ্যনিবেশিক আইন। ব্রিটিশরা এটিকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দমন করার জন্য ব্যবহার করত। মহাত্মা গাঁধী, বালগঙ্গাধর তিলকের বিরুদ্ধেও এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছিল। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও কি এই আইনের কোনও প্রয়োজন আছে?" কেন্দ্রের উদ্দেশে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা মামলার শুনানির সময় এই প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট।
এই নিয়ে তৃণমূল (TMC) নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), "বিষয়টি যথেষ্ট গভীর এবং গুরুত্বপূর্ণ। তাই এভাবে আমার পক্ষে মন্তব্য করা সম্ভব না। তবে ঔপনিবেশিকতা থেকে দমন, পীড়ন তৎকালীন ভারতের শাসক গোষ্ঠী যে কাজটি করেছিলেন তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট একটি প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি তৈরি হল কেন? অতি সম্প্রতি দেশের রাষ্ট্রশক্তি যেভাবে এর অপব্যবহার করছে তার থেকেই এই কথা উঠে আসছে যে আইনটাকে কীভাবে আটকানো যায়। এই আইনটি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের দমন পীড়নের জন্য ব্রিটিশ শাসকরা ব্যবহার করত। এখন সেটার প্রাসঙ্গিকতা সম্বন্ধে প্রশ্ন উঠে উঠছে কারণ কেন্দ্রীয় সরকার অর্থাৎ বিজেপি দমন, পীড়ন চালাচ্ছে, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করছে এই আইনের মাধ্যমে।"