Fake IAS Vaccine Camp: ভ্যাকসিনের নামে স্রেফ পাউডার গোলা জল! কসবা-কাণ্ডে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Continues below advertisement

দেবাঞ্জন দেবের আয়োজন করা ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে দেওয়া ভ্যাকসিনের কোন ব্যাচ নম্বর ছিল না। ভায়ালের উপরে ছিল একটি সবুজ স্টিকার। তার উপরে কোভিশিল্ড নাম লেখা ছিল। এছাড়াও ভায়ালের উপরে মিক্সড ভ্যাকসিন লেখা ছিল। অর্থাৎ পাউডার ও তরল মিশিয়ে এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। বিসিজি ভ্যাকসিনে এই ধরনের মিক্সড ভায়াল ব্যবহার হয়। করোনাভাইরাসের জন্য এখনও কোন মিক্সড ভ্যাকসিন বাজারে আসেনি। করোনার ক্ষেত্রে একটি ভায়াল থেকে প্রায় ১০ জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব। কিন্তু এই ভুয়ো ভ্যাকসিনের ভায়াল আকারে অনেকটাই ছোট।

কলকাতা পুরসভার ডেপুটি সিএমওএইচ (CMOH) বলেন, "কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রে দেওয়াই হয়নি কোভিশিল্ড কিংবা কোভ্যাক্সিন। কোনও ভায়ালেই ছিল না ব্যাচ নম্বর, এক্সপায়ারি ডেট। কোনও ভায়ালেই ছিল না ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট। করোনার ভ্যাকিসিনের মতো দেখতে ভায়ালে ভ্য়াকসিনেশন। করোনার নামে সম্ভবত হাম কিংবা বিসিজির ভ্যাকসিনেশন।"

ভুয়ো টিকাকরণ শিবির নিয়ে আজ অতীন ঘোষ (Atin Ghosh) বলেন, "ভ্যাকসিন নিতে গেলে পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়। রেজিস্ট্রেশন করালে মোবাইলে মেসেজ আসে। মেসেজ না আসা সত্ত্বেও কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। রেজিস্ট্রেশন না করিয়ে কীসের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন নিলেন গ্রহীতারা? কেন্দ্র, রাজ্য, বেসরকারি হাসপাতাল ছাড়া কারও ভ্যাকসিন দেওয়ার অধিকার নেই। ভ্যাকসিন নিলেই কো-উইন অ্যাপে তার তথ্য চলে আসবে। পুরসভা ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করার অনুমতি দেয় না। ভ্যাকসিন নিলেই অটো জেনারেটেড সিস্টেমে আপডেটেড হয়। এর বাইরে ভুয়ো ভ্যাকসিন দিলে সেই তথ্য পাওয়া যায় না। ভ্যাকসিনেশনের পর সার্টিফিকেট না পেলে পুরসভাকে অভিযোগ জানানো উচিত। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্য সরকার, রাজ্য সরকার থেকে পুরসভা, রাজ্য সরকার থেকে বেসরকারি ও সরকারি হাসপাতাগুলির বাইরে কোনও চতুর্থ ব্যক্তি নেই যারা ভ্যাকসিন দিতে পারে।"

Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram