Durga Puja : ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল বাংলার দুর্গাপুজো, বাংলার জন্য গর্বের মুহূর্ত, ট্যুইট মুখ্যমন্ত্রীর| Bangla News
বাঙালির গর্বের মুকুটে যোগ হল আরও একটি পালক। বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেল বাংলার দুর্গাপুজো। ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেল বাঙালির দুর্গোৎসব। মহালয়া থেকে শুরু, দশমীতে প্রতিমা নিরঞ্জন। করোনার কারণে দু’বছর বন্ধ থাকলেও, গত কয়েক বছরে কলকাতার দুর্গাপুজোর অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে রেড রোডে ‘দুর্গাপুজো কার্নিভাল’। এবার কলকাতার সেই দুর্গাপুজোকেই Intangible Cultural Heritage স্বীকৃতি দিল The United Nations Educational, Scientific and Cultural Organization বা UNESCO।
UNESCO’র তরফে জানানো হয়েছে, ধর্ম এবং শিল্পের মেলবন্ধনের জন্যেই দুর্গাপুজোকে এই তকমা দেওয়া হয়েছে। এর আগে কুম্ভ মেলা, রামলীলা, ছৌ নাচ, ভারতীয় যোগকেও হেরিটেজের তকমা দিয়েছে UNESCO। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল দুর্গাপুজোও।
দুর্গাপুজোকে UNESCO স্বীকৃতি দেওয়ার পরই, ট্যুইটে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার জন্য গর্বের মুহূর্ত। বিশ্বের প্রতিটি বাঙালির কাছে, দুর্গাপুজো উৎসবের চেয়ে অনেক বেশি আবেগের। যা সবাইকে এক করে। দুর্গাপুজো এখন, বিশেষ সাংস্কৃতিক হেরিটেজের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। এতে আমরা সবাই আনন্দিত।’
বাংলায় ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লেখেন, ‘প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্য গর্ব ও আনন্দের বিষয়। দুর্গাপুজো আমাদের সাংস্কৃতিক ও আত্মিক বৈশিষ্ট্যর শ্রেষ্ঠ দিকগুলিকে তুলে ধরে। আর, কলকাতার দুর্গাপুজোর অভিজ্ঞতা প্রত্যেকের লাভ করা উচিত।’
ট্যুইটে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহ লেখেন, ‘দুর্গাপুজো ভারতের সমৃদ্ধশালী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ঐক্যের চেতনাকে প্রতিফলিত করে। এটা জেনে খুব ভাল লাগছে যে এই ঐতিহ্যশালী উৎসবকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যেক ভারতীয় আজ অত্যন্ত গর্বিত।’
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে বলেন, ‘অমিত শাহ এবং বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের জন্য দু’মিনিট নীরবতা। যাঁরা ভোটের প্রচারের সময় হাস্যকরভাবে দাবি করেছিলেন, দুর্গোৎসব পশ্চিমবঙ্গে উদ্যাপিত হয় না। আপনার ধর্মান্ধতা এবং ধাপ্পবাজি ধরা পড়ে গেছে!’
এ নিয়ে ট্যুইট করেছেন রাজ্যপালও। তিনি লিখেছেন, ‘কলকাতার দুর্গাপুজো UNESCO-র Intangible Heritage তালিকায় স্থান পেয়েছে। এটা প্রতিটি ভারতীয়র কাছে গর্বের বিষয়। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রক ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ট্যাগ করে রাজ্যপাল লিখেছেন, দুর্গাপুজো আমাদের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।’