Debanjan Deb Update: নিজেকে শ্রমিক নেতা প্রমাণ করতে সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নামে ভুয়ো ভোট দেবাঞ্জনের
নিজের একাধিক ভুয়ো কার্যকলাপ চাপা দিতে অফিসে ভুয়ো ভোটেরও আয়োজন করেছিলেন ফ্রডস্টার দেবাঞ্জন দেব (Debanjan Deb)। রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নামে সেই ভোটে নিজেই অংশ নিয়েছিলেন দেবাঞ্জন (Fake IAS)। বিপুল ভোটে জিতেও ছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল নিজেকে নির্বাচিত শ্রমিক নেতা প্রমাণ করা। ব্যালটে ভুয়ো ভোট করিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। অফিসের কর্মীদের কাছে নিজেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠনের দক্ষিণবঙ্গ প্রেসিডেন্ট বলেও দাবি করেছিলেন দেবাঞ্জন। শুধু তাই নয়। ভোটে জেতার পর কসবার অফিসে সেলিব্রেশনও করা হয়েছিল।
এদিকে ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে পুলিশের জালে দেবাঞ্জন দেবের আরও ২ সহযোগী। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন দেবাঞ্জনের খুড়তুতো দাদা কাঞ্চন দেব। পুলিশের দাবি, নাকতলার বাসিন্দা কাঞ্চন ছিলেন দেবাঞ্জনের অফিসের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড। তাঁকে কলকাতা পুরসভার কন্ট্রোলিং অফিসার হিসেবে পরিচয় দেওয়া হত। প্রথম থেকেই তিনি জানতেন, দেবাঞ্জন আদতে IAS নন। দেবাঞ্জনের প্রতারণা-কারবারে কাঞ্চনও যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি।
অপর এক ধৃত শরৎ পাত্র কাজ করতেন তালতলা এলাকার এক চিকিত্সকের চেম্বারে। সেখানেই ইঞ্জেকশন দিতে শিখেছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেবাঞ্জনের ভুয়ো ক্যাম্পে শরৎই দিতেন ভুয়ো ভ্যাকসিন। এমনই দাবি পুলিশের। ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে এর আগে দেবাঞ্জনের পাশাপাশি তাঁর আরও তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের ২ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার নতুন করে আরও দুই জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাদের আজ আদলাতে তোলা হবে বলে জানা গেছে।