জেএনইউয়ে হস্টেলের ঘর বেছে বেছে হামলা চালানো হয়, হামলাকারীরা কথা বলছিল সাঙ্কেতিক ভাষায়
Continues below advertisement
জেএনইউ-র গার্লস হস্টেলে হামলাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন সবরমতী ও পেরিয়ার হস্টেলে ঘর বেছে বেছে হামলা চালানো হয়। হামলার নেপথ্যে ভিতরের কয়েকজন থাকলেও অধিকাংশই ছিল বহিরাগত। হস্টেলের কোন ঘরে কে থাকেন, হামলাকারীদের কাছে সেই তথ্য ছিল। তাণ্ডবের সময় হামলাকারীরা সাঙ্কেতিক ভাষায় কথা বলছিলেন। গত কয়েকদিন ধরেই জেএনইউয়ে এসএফআই ও এবিভিপির মধ্যে ঝামেলা চলছিল। ঘটনার দিন বিকেল ৪টের পর দুপক্ষের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। এর পরই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে হামলাকারীরা। সেখানেই সাঙ্কেতিক শব্দ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সন্ধে ৭টা নাগাদ হস্টেলের আলো নিভিয়ে হামলা শুরু হয়। ওই সময় হস্টেলের যে পড়ুয়ারা সাঙ্কেতিক ভাষায় কথা বলেছিলেন তাঁদের মারধর করা হয়নি। হামলার সময় ক্যাম্পাসে ১০ জন সাদা পোশাকে পুলিশ ছিলেন। তাঁদের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয়। ক্যাম্পাসে হামলার কথা দিল্লি পুলিশকে জানানো হয়। কিন্তু প্রায় এক ঘণ্টা পর ক্যাম্পাসে ঢোকে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় মুখোশধারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে জেএনইউ-র গার্লস হস্টেলে হামলার দায় স্বীকার হিন্দু রক্ষা দলের। ভিডিও প্রকাশ করে হামলার দায়ভার নেয় তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দেশবিরোধী কাজের জন্য হামলা বলে দাবি করেছে হিন্দু রক্ষা দল। দলের প্রধান পিঙ্কি চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জেএনইউকাণ্ডের ২ দিন পরও ক্যাম্পাসজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গেটে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, শীতকালীন সিমেস্টারের রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা বাড়ল কর্তৃপক্ষ। রবিবার পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। জানিয়েছেন জেএনইউয়ের রেজিস্ট্রার।
Continues below advertisement