তিস্তা কালীবাড়িতে পুজো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

Continues below advertisement
সোমবার শিলিগুড়িতে সাংগঠনিক বৈঠকের পর মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্য দলের অভ্যন্তরীন ফাটল ভরানো। দুপুরে পুজো দিলেন তিস্তা কালীবাড়িতে। তৃণমূল সাংসদের উত্তরবঙ্গ সফরকে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির।  
২০১৭ থেকে ২০১৯। দু’বছরের মধ্যে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বদল হয়েছে দুবার। তারপরও গোষ্ঠীকোন্দল কমা তো দূরের কথা, বরং তা বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভোটের আগে ড্যামেজ কন্ট্রোলে চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে আলিপুরদুয়ারে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ঘড়িতে তখন ১টা ছুঁইছুঁই। অভিষেকের বিশাল কনভয় এসে দাঁড়ায় তিস্তা কালীবাড়ির সামনে। এরপর মন্দিরে ঢোকেন অভিষেক। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে যায় তাঁর কনভয়। সেখান থেকে জেলা ও ব্লক স্তরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চলে যান আলিপুরদুয়ার সার্কিট হাউসে। 
তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে দলীয় নেতৃত্বের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন অভিষেক। সেখানেও উঠে আসে গোষ্ঠীকোন্দলের প্রসঙ্গ। এমনকি সার্কিট হাউসের বাইরে নজরে আসে তৃণমূলেরই বিভিন্ন গোষ্ঠীর পোস্টার।
সূত্রের খবর, এদিন কড়া ভাষায় অভিষেক নির্দেশ দেন, কোনও ধরনের গোষ্ঠীকোন্দল বরদাস্ত করা হবে না। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দল না থাকলে কারও একার অস্তিস্ব নেই। কারও কোনও সমস্যা থাকলে তিনি সরাসরি শীর্ষ নেতৃত্বকে জানাতে পারে। পাশাপাশি তাঁর নির্দেশ, সরকারি কর্মসূচি পৌঁছে দিতে হবে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফরকে অবশ্য কটাক্ষ করছে বিজেপি। 
বিগত লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রটি তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। বিধানসভা ভোটে কি তৃণমূল পারবে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে?  
Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram