Dilip Ghosh at Hooghly: দিদিমণি চাবি নিয়ে ঘোরেন কারখানা খোলার জন্য নয়, কারখানা বন্ধ করার জন্য, সিঙ্গুর নিয়ে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের, পাল্টা তৃণমূল

Continues below advertisement
১০ বছর আগে রাজ্যে তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার পিছনে, বড় ফ্যাক্টর ছিল সিঙ্গুর আন্দোলন। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটের প্রচারে, সিঙ্গুরে জমি ফেরানোর প্রতিশ্রুতিকে হাতিয়ার করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচন, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন – সব ভোটেই তৃণমূলকে বিপুল ভোটে জিতিয়েছিলেন সিঙ্গুরের মানুষ। তৃণমূলের আন্দোলনের জেরে সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা হয়নি! সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকরা জমি ফিরে পেয়েছেন! কিন্তু, তা সত্ত্বেও ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে এই সিঙ্গুরেই গেরুয়া ঝড়ে ভেসে যায় তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, সিঙ্গুর বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগের চেয়ে ১০ হাজার ৪২৯ ভোট বেশি পান বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। টাটাদের একদা প্রকল্প এলাকাতেও শোচনীয় ফলাফল হয় তৃণমূলের। এবার ২১-এর ভোটের আগেও ফের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল সিঙ্গুর। 
মঙ্গলবার তৃণমূলকে আক্রমণ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সিঙ্গুরের কারখানার দিকে যখন তাকাই, তখন দেখি ফর্সা সাদা দিদিমণির শাড়ির মত কাশফুল ফুটে আছে। কেন এমন অবস্থা? হয় ওখানে সবুজ ধান হবে, না হয় কারখানা হবে। দিদিমণি চাবি নিয়ে ঘোরেন কারখানা খোলার জন্য নয়, কারখানা বন্ধ করার জন্য। কাজ করার জন্য গুজরাট মহারাষ্ট্র যেতে হত না। কারখানা বন্ধ করে আবার বড় বড় কথা। এখান থেকে পালিয়ে গুজরাত গেছে টাটা। ২৪ ঘন্টার মধ্যে জমি পেয়েছে। আমাদের শিক্ষিত-অশিক্ষিত ছেলেরা বাইরে চলে যাচ্ছে।’
এদিন প্রথমে চন্দনননগরের প্রবর্তক আশ্রমে যান দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে জিরাট ও বলাগড়ে গিয়ে পৃথক পৃথক জনসভা করেন তিনি। সেখানেই নানা ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। উত্তর দিতে দেরি করেনি তৃণমূলও।
হুগলির তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ যাদব বলেছেন, ‘সিঙ্গুরে কৃষি আন্দোলন কৃষকদের জন্যই, বিজেপি সেটা ভুলে গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদির আমলেই সবচেয়ে বেশি কারখানা বন্ধ হয়েছে। নরেন্দ্র মোদির আমলেই সবচেয়ে বেশি কারখানা বন্ধ হয়েছে, এখন ওরা বলতে হয় তাই বলছে। শ্রমিক থেকে কৃষক সবার জীবিকাই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে মোদি।’
ভোট আসে, ভোট যায়। সিঙ্গুর ইস্যু হয়। কিন্তু, সিঙ্গুরের ভাগ্য ফিরবে কবে?
Continues below advertisement

JOIN US ON

Whatsapp
Telegram