দুর্গাপুরের ভাঙা লক গেটের জেরে বন্ধ বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সঙ্কটের আশঙ্কা
Continues below advertisement
চারদিন কেটে গেলেও এখনও শুরু হয়নি দুর্গাপুরের ভাঙা লক গেটের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতির কাজ। পুর এলাকায় ক্রমশ বাড়ছে জলের সঙ্কট। পাশাপাশি ডিপিএল-এ বদ্ধ বিদ্যুৎ উৎপাদন বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সঙ্কটের আশঙ্কা। আজ সকাল থেকেই শুরু হয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি। গতকাল ডিপিএল-এর তরফে বলা হয়েছিল, দু'দিনের জল মজুত রয়েছে এবং তাই দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। আজ সারাদিন বিদ্যুৎ উৎপাদন চালিয়ে নেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু আজ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়নি। সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ। ব্যারাজ মেরামতির কাজের সঙ্গে চিফ ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে দুর্গাপুরবাসী ও অন্যান্য জায়গায় জল সরবরাহ করা যাবে। জল সঙ্কট মোকাবিলার চেষ্টা করা হচ্ছে। জল সমস্যার কারণে মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আটটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ। বিদ্যুৎ ঘাটতির পরিমাণ ৪৫০ মেগাওয়াট। এই আটটি ইউনিট থেকে প্রতিদিন উৎপন্ন হয় ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় রেল, ইসিএল-এ। এছাড়াও ব্রিজের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল ঝাড়খণ্ড, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এখানকার চিফ ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন এখনও যে পরিমাণ জল মজুত আছে তাতে ৩-৪ দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হবে না। জল যন্ত্রণা রয়েছে এবার যদি তার জেরে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দেয় তবে কী হবে ভেবে কুল পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।
Continues below advertisement