West Bengal Election 2021: রাজনীতি থেকে আপাতত সরছি, জানালেন লক্ষ্মীরতন, কোনও দলে যোগ দেওয়ার চাপ ছিল? মন্তব্যে নারাজ সৌরভ
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
01 Jan 1970 05:30 AM (IST)
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App
রাজনীতি থেকে আপাতত সরছি। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে দাবি লক্ষ্মীরতন শুক্লর। তাঁর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে তৃণমূল। যদিও, লক্ষ্মীরতন শুক্লর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে জল্পনা উস্কে দিয়েছে বিজেপি।
মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন। তৃণমূলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকেও সরে দাঁড়ালেন। আর আপাতত রাজনীতি ছাড়ার কারণ স্পষ্ট না বললেও, লক্ষ্মীরতন শুক্লার মন্তব্য কিন্তু নিঃসন্দেহে ইঙ্গিতপূর্ণ। বঙ্গ রাজনীতি কি লক্ষ্মী হারাবে? নাকি ঘাসফুলের লক্ষ্মী পা বাড়াবেন অন্য ঘরে? বিজেপি নেতাদের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে জোরাল হচ্ছে সেই জল্পনা।
মঙ্গলবার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং তৃণমূলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে দেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিত্ব এবং দলের হাওড়া শহর সভাপতির পদ ছাড়ার পর প্রথমবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। বিস্ফোরক কিছু বললেন না। অত্যন্ত বাছা বাছা কৌশলী শব্দ ব্যবহার করলেন। তবে তিনি যে ফের কামব্যাকও করতে পারেন, সেই ইঙ্গিতও কিন্তু কিছুটা হলেও মিলল।
কিন্তু, খেলার ময়দান থেকে রাজনীতির ময়দানে নামার পর হঠাৎ কেন আপাতত সেই রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত? লক্ষ্মীরতনের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে দাবি, মন্ত্রী হিসাবে কিংবা হাওড়ার তৃণমূল সভাপতি হিসাবে তাঁকে কেনও কাজই দেওয়া হয়নি। তাঁর কোনও সিদ্ধান্তকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যদিও, সাংবাদিক বৈঠকে পদত্যাগের কারণ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি লক্ষ্মী।
তবে সাংবাদিকের বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার তাৎপর্যপূর্ণ একটি ফেসবুক পোস্ট করেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। ছবিটা আঁকা। তাতে দেখা যাচ্ছে, ইন্ডিয়া টিমের জার্সি গায়ে সৌরভ ও লক্ষ্মীরতন নিজে। মহারাজ তাঁর কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছেন। এই ছবি পোস্ট করে লক্ষ্মীরতন লিখেছেন, একজন সত্যিকারের নেতা, অধিনায়ক। যিনি শুধু নিজেই খেলেন না। গোটা টিমকে খেলতে উদ্ধুদ্ধ করেন।
লক্ষ্মীরতন নিজে পোস্টের মধ্যে আলাদা কোনও তাৎপর্য না দেখলেও, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথা কিন্তু নতুন জল্পনা উস্কে দিয়েছে।
এদিকে লক্ষ্মীরতনের ইস্তফা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার উডল্যান্ডস থেকে ছাড়া পান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর অসুস্থতার কারণ নিয়ে নানা মহলে নানা জল্পনা। তাঁর ওপর কি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার চাপ ছিল? এই প্রশ্নও বারবার উঠছে। যদিও, বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময়, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিসিসিআই সভাপতি।
বৃহস্পতিবার সৌরভ বাড়ি ফেরার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
লক্ষ্মীরতন শুক্লর পাশাপাশি জল্পনা জোরাল হচ্ছে হাওড়া জেলায় তৃণমলের আরও একাধিক হেভিওয়েটকে ঘিরে। এর মধ্যে বনমন্ত্রী তথা ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছেন। লক্ষ্মীরতন শুক্ল যেদিন মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন, সেদিনই চতুর্থবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির থেকে জল্পনা আরও বাড়িয়েছেন তিনি। একইদিনে বেসুরো গেয়েছেন হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীও। বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন দুই বেসুরো নেতা। অরণ্য ভবনে ঘণ্টাখানেক চলে সেই বৈঠক। অসুস্থ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে এসেছিলেন বলে দাবি করলেও, দলের উদ্দেশে বার্তাও দিয়েছেন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র তথা চিকিৎসক রথীন চক্রবর্তী।
সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে হাওড়া জেলায় তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বারবার সামনে চলে এসেছে। বিধানসভা ভোটের আগে সেই অসুখ কি সারিয়ে তুলতে পারবে শাসক শিবির? নাকি এই ফাটলের জেরেই গঙ্গাপাড়ের শহরে সুবিধা পেয়ে যাবে পদ্মশিবির? সেটাই দেখার।
মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন। তৃণমূলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকেও সরে দাঁড়ালেন। আর আপাতত রাজনীতি ছাড়ার কারণ স্পষ্ট না বললেও, লক্ষ্মীরতন শুক্লার মন্তব্য কিন্তু নিঃসন্দেহে ইঙ্গিতপূর্ণ। বঙ্গ রাজনীতি কি লক্ষ্মী হারাবে? নাকি ঘাসফুলের লক্ষ্মী পা বাড়াবেন অন্য ঘরে? বিজেপি নেতাদের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে জোরাল হচ্ছে সেই জল্পনা।
মঙ্গলবার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং তৃণমূলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকে দেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিত্ব এবং দলের হাওড়া শহর সভাপতির পদ ছাড়ার পর প্রথমবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। বিস্ফোরক কিছু বললেন না। অত্যন্ত বাছা বাছা কৌশলী শব্দ ব্যবহার করলেন। তবে তিনি যে ফের কামব্যাকও করতে পারেন, সেই ইঙ্গিতও কিন্তু কিছুটা হলেও মিলল।
কিন্তু, খেলার ময়দান থেকে রাজনীতির ময়দানে নামার পর হঠাৎ কেন আপাতত সেই রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত? লক্ষ্মীরতনের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে দাবি, মন্ত্রী হিসাবে কিংবা হাওড়ার তৃণমূল সভাপতি হিসাবে তাঁকে কেনও কাজই দেওয়া হয়নি। তাঁর কোনও সিদ্ধান্তকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যদিও, সাংবাদিক বৈঠকে পদত্যাগের কারণ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি লক্ষ্মী।
তবে সাংবাদিকের বৈঠকের আগে বৃহস্পতিবার তাৎপর্যপূর্ণ একটি ফেসবুক পোস্ট করেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। ছবিটা আঁকা। তাতে দেখা যাচ্ছে, ইন্ডিয়া টিমের জার্সি গায়ে সৌরভ ও লক্ষ্মীরতন নিজে। মহারাজ তাঁর কাঁধে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছেন। এই ছবি পোস্ট করে লক্ষ্মীরতন লিখেছেন, একজন সত্যিকারের নেতা, অধিনায়ক। যিনি শুধু নিজেই খেলেন না। গোটা টিমকে খেলতে উদ্ধুদ্ধ করেন।
লক্ষ্মীরতন নিজে পোস্টের মধ্যে আলাদা কোনও তাৎপর্য না দেখলেও, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথা কিন্তু নতুন জল্পনা উস্কে দিয়েছে।
এদিকে লক্ষ্মীরতনের ইস্তফা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার উডল্যান্ডস থেকে ছাড়া পান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর অসুস্থতার কারণ নিয়ে নানা মহলে নানা জল্পনা। তাঁর ওপর কি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার চাপ ছিল? এই প্রশ্নও বারবার উঠছে। যদিও, বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময়, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিসিসিআই সভাপতি।
বৃহস্পতিবার সৌরভ বাড়ি ফেরার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
লক্ষ্মীরতন শুক্লর পাশাপাশি জল্পনা জোরাল হচ্ছে হাওড়া জেলায় তৃণমলের আরও একাধিক হেভিওয়েটকে ঘিরে। এর মধ্যে বনমন্ত্রী তথা ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে চলেছেন। লক্ষ্মীরতন শুক্ল যেদিন মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন, সেদিনই চতুর্থবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির থেকে জল্পনা আরও বাড়িয়েছেন তিনি। একইদিনে বেসুরো গেয়েছেন হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীও। বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন দুই বেসুরো নেতা। অরণ্য ভবনে ঘণ্টাখানেক চলে সেই বৈঠক। অসুস্থ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে এসেছিলেন বলে দাবি করলেও, দলের উদ্দেশে বার্তাও দিয়েছেন হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র তথা চিকিৎসক রথীন চক্রবর্তী।
সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে হাওড়া জেলায় তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বারবার সামনে চলে এসেছে। বিধানসভা ভোটের আগে সেই অসুখ কি সারিয়ে তুলতে পারবে শাসক শিবির? নাকি এই ফাটলের জেরেই গঙ্গাপাড়ের শহরে সুবিধা পেয়ে যাবে পদ্মশিবির? সেটাই দেখার।