Nadia News: চলন্ত ট্রেনেই মন্ত্রপাঠ, ট্রেনের কামরায় বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন
ফুল দিয়ে সাজানো ট্রেনের কামরা। শিয়ালদাগামী ট্রেন তখন ছুটছে পরের স্টেশনের দিকে। চলন্ত ট্রেনের মধ্যেই হচ্ছে মন্ত্রপাঠ। প্রতিদিন যে ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছে দেয়, সেই ট্রেনেই বিশ্বকর্মা পুজোর (Vishwakarma Puja 2023) আয়োজন। ১৬ বছরের রীতিতে ছেদ পড়ল না এবারও। বিশ্বকর্মা পুজোতে এমন ছবি দেখা গেল নদিয়ার শান্তিপুরে।
ট্রেনের কামরায় বিশ্বকর্মার আরাধনা: আশ্বিনের মেঘলা আকাশে পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা আর মুখপোড়াদের লড়াই। আজ বিশ্বকর্মা পুজো। বাঙালি মাতবে ঘুড়ির উৎসবে। এ ছাদ থেকে ও ছাদ চেঁচাবে ভোকাট্টা বলে। তারই প্রস্তুতি চলছে চারদিকে। সকাল সকাল ঘুড়ি-মাঞ্জায় শান দেওয়ার পালা। এই বিশ্বকর্মা পুজোর হাত ধরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের সূচনা। রীতি মেনে এবারও ট্রেনের কামরায় বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করলেন নিত্যযাত্রীরা
সোমবার সকাল থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়। বিশ্বকর্মার মূর্তি এনে ট্রেনের কামরায় চলছে পূজার্চনা। ট্রেন চলতে চলতে তারই মধ্যে চলছে পুজোপাঠ।কেন এই আয়োজন? উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, প্রতিদিন সঠিক সময় গন্তব্যে পৌঁছে দেয় এই ট্রেন। তাই এই বিশেষ দিনে বিশ্বকর্মার আরাধনা করা।
কেন এই আয়োজন?
নিত্যযাত্রী ও পুজো উদ্যোক্তা বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, "১৬ বছর আগে কয়েকজন মিলে এই পুজো করা শুরু করি। ট্রেনই হল আমাদের লাইফলাইন। আমাদের রুটিরুজি নির্ভর করে এই ট্রেনের উপর। ট্রেনের জন্যই গন্তব্যে পৌঁছতে পারি। আমাদের সদস্য সংখ্যা এখন ৫০ জন ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই পুজোর জন্য কাউকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হয় না। নিজেরাই করে নিই সবাই। ৩৫ মিনিট সময়ের মধ্যে সবটা করে ফেলতে হয়।''
এদিকে বিশ্বকর্মা পুজোয় হাওড়ায় শিল্প-তরজা। হাওড়ায় শিল্পকে শেষ করেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ সফর করে লগ্নি আনার কথা বলছেন, অথচ ঘরের কাছে হাওড়ায় বিনিয়োগের অভাবে বন্ধ হয়েছে একের পর এক কারখানা। ১৪ সেপ্টেম্বর, হাওড়া ময়দানের জনসভা থেকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতির সমালোচনায় সরব হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। শিল্পের এই রুগ্ন দশাকেই লোকসভা ভোটে হাতিয়ার করতে চাইছে গেরুয়া ব্রিগেড। মন্ত্রী অরূপ রায়ের পাল্টা দাবি, তাঁদের আমলে হাওড়ায় কোনও কারখানা বন্ধ হয়নি।উল্টে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের দু’ধারে নতুন কারখানা তৈরি হয়েছে।তৈরি হয়েছে শিল্প পুনর্গঠন দফতর। বিরোধীদের সমালোচনাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল।