প্রয়াত হলেন বাপি লাহিড়ি। হাসপাতালের তরফে জানানো হল, তিনি অবস্ট্রাকটিভ স্লিম অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন
এবিপি লাইভকে বিশিষ্ট চিকিৎসক শুদ্ধসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায় জানালেন , এই রোগ আসলে শ্বাসযন্ত্র ও শ্বাসনালীর জটিল সমস্যা । তবে বিরলও নয়।
অনেকেই নাক ডাকার সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু কারও কারও অস্বাভাবিক বেশি ! যে পেশীগুলির মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাসের পদ্ধতিটি চলে, তা ঘুমের সময় শ্লথ হয়ে পড়ে। কাজের গতি কমে যায়।
শ্বাসনালী সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ঘুমের মধ্যে সঠিক ভাবে শ্বাস নেওয়া যায় না। সরু নালী দিয়ে যখন শ্বাসবায়ু যেতে চায়, তখন যে চাপ তৈরি হয়ে শব্দ হয়, তাকেই বলে নাক ডাকা।
স্থূলকায় ব্যক্তিদের সমস্যা বেশি হয়। জিভ পুরু হয়ে যায়, আলজিভ বড় হয়ে যায়। রোগের গুরুত্ব অনুসারে চিকিৎসা শুরু করতে হয়।
এই রোগের উপসর্গ - নাক ডাকা, আরও সজোরে নাক ডাকা, তারপর হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া। ক্লান্তি দূর হয় না।কাজের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন। ছোট্ট ঘুমের মধ্যেও নাক ডাকতে দেখা যায়
এই অসুখে স্থূলতা বাড়ে। ধীরে ধীরে ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ ডেকে আনতে পারে। মস্তিষ্কেরও ক্ষতি করতে পারে। এই রোগ দীর্ঘকাল ধরে চললে বড় রকম ক্ষতি করে
অ্যাডিনয়েড টনসিল (adenoid tonsillitis) থেকে সমস্যা হলে, টনসিল অপারেশন করে দেওয়া হয়। ইউভিলা বা আলজিভ কেটে দেওয়া হয়।জিভের পুরু অংশও বাদ দেওয়া হয়।
সি প্যাপ মেশিন ব্যবহার করা যায়। এর দ্বারা জোর করে অক্সিজেন ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এতে ঘুমের মধ্যেও অক্সিজেনের ঘাটতি হয় না।
এই উপসর্গগুলি নিয়ে এলে স্লিপ স্টাডি করা হয়। সারা রাত সিপ্যাপ মেশিন ব্যবহার করলে ঘুমের সাইকলটি স্বাভাবিক হয়। রোগের প্রকোপ আটকাতে ওজন কমানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ