বাবার সঙ্গে মাল বওয়া থেকে ভারতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, যুগরাজের স্বপ্নের সফর

Published by: ABP Ananda

এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁর গোলেই চিনকে হারিয়েছিল ভারতীয় দল। পঞ্চম এশিয়াসেরা হয় ভারত। তিনি ভারতীয় দলের ২৭ বছর বয়সি সেন্টার ব্যাক যুগরাজ সিংহ।

ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নায়কের জীবন কিন্তু রূপকথাকেও হার মানাবে। একসময় পেটের তাড়নায় ওয়াঘা বর্ডারে জল ও ভারতীয় পতাকা বিক্রি করতেন যুগরাজ।

যুগরাজের বাবা সুখজিৎ মুটে হিসাবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনিই জানান পরিবারকে সাহায্য করতে একাধিক কাজ করতেন যুগরাজ।

সুখজিৎ বলেন, 'আমি নিজের কাজ ছাড়া অন্য কিছু জানি না। তবে আমার ছেলে পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে। একসময় ও পরিবার চালাতে পতাকা বেচত, আর এখন দেখুন কোথায় পৌঁছে গিয়েছেও।'

যুগরাজের প্রতিভা বুঝে তাঁকে অল্প বয়সে নভজিৎ সিংহ কোচিং করানো শুরু করেন। বদলে যায় তাঁর জীবন।

বাবার সঙ্গে প্রচুর ওজন তোলার ফলে যুগরাজ শারীরিকভাবে ওর বয়সিদের থেকে বেশ শক্তিশালী ছিল, জনান নভজিৎ।

সকাল ও বিকেলে গর্ভমেন্ট সিনিয়ার সেকেন্ডারি স্কুলে যুগরাজ অনুশীলন করতেন। মাঝের সময়ে বেচতেন জল, পতাকা।



২০০৯ সালে বাবা উত্তম সিংহ জাতীয় হকি অ্যাকাডেমিতে যোগদান করেন যুগরাজ। পরবর্তী চার বছরে নেহেরু কাপসহ না না প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন ভারতীয় তারকা ডিফেন্ডার।

তাঁর কঠোর পরিশ্রম অবশেষে ফল দেয়। ২০২১-২২ সালে তিনি ভারতীয় হকি দলের হয়ে নিজের অভিষেক ঘটান। বর্তমানে তিনি জাতীয় দলের অংশ।