৯৬ বছরে পা দিয়েছেন সঙ্গীতাচার্য। আজীবন বিষ্ণুপুর ঘরানায় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের সাধনা করে গিয়েছেন তিনি। তাঁর অন্যতম শিষ্য পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।
অজয় চক্রবর্তী বলেন, 'মাস্টারমশাইয়ের মত গুণী মানুষদের কাজ যত বেশি করে সংরক্ষণ করা যাবে তত ভাল। একজন সু-সাংস্কৃতিক মানুষ বলতে যা বোঝায় মাস্টারমশাই একেবারেই তাই। আমি খুব খুশি।'
অজয় চক্রবর্তী ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন পণ্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার, পণ্ডিত কুমার বোস, শ্রীকান্ত আচার্য, চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ।
গৌতমবাবুর কথায়, 'অমিয়বাবুর মত অত্যন্ত উঁচু মাপের সঙ্গীতজ্ঞকে নিয়ে তথ্যচিত্র বানাবার প্রয়োজন ছিল। এঁদের মত বিরাট মাপের শিল্পীদের কাজ সংরক্ষণ না করলে আমাদেরই ক্ষতি। তাই এই উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি।'
এই তথ্যচিত্র বানাবার জন্য প্রযোজক নন্দিনী চক্রবর্তীকে কুর্নিশ জানিয়েছেন শ্রীকান্ত আচার্য, তেজেন্দ্রনারায়ন এবং কুমার বোস। ওঁরা প্রত্যেকেই খুশি।
শিষ্যা এবং প্রযোজক নন্দিনী চক্রবর্তীর কথায়, 'গুরুজি বয়সকে সংখ্যামাত্র বানিয়ে এখনও নিয়মিত রেওয়াজ করেন, ক্রমাগত সংশোধনের মাধ্যমে নিজের সৃষ্টিকে আরও পরিশীলিত করে তোলেন।'
'আত্ম সংযম, নিয়মানুবর্তিতা, মার্জিত ব্যবহার, প্রচার বিমুখতা এই স্নিগ্ধ মানুষটির একান্ত বৈশিষ্ট্য। বিগত চল্লিশ বছর ধরে শিষ্যা হিসেবে অত্যন্ত কাছ থেকে তাঁকে দেখছি আমি।'
'এই মানুষটির জীবন নিয়ে একটি তথ্যচিত্রের প্রয়োজন অনুভব করেছি, যা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সঙ্গীত শিক্ষার্থীদের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ক হবে বলেই মনে করি'