ভাদ্রমাসে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মাষ্টমী পালন করা হয়।

শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল মথুরায় কংসের কারাগারে। সেখান থেকে সেই রাতেই গোকূলে নন্দালয়ে কৃষ্ণকে রেখে এসেছিলেন তাঁর বাবা।

শৈশবেই কংস তাঁকে মারার জন্য পাঠিয়েছিলেন পুতনা, কাগাসুর ও শ্রীধর তান্ত্রিক, উৎকচ, বকাসুর, অধাসুর ও তৃণাসুরদের।

কৃষ্ণ মাটি খাচ্ছিলেন। যশোদা ধমক দিয়ে মুখ খুলতে বলেন। মুখ খুলতেই ব্রহ্মাণ্ডের দর্শন করেন মা।

শ্রীকৃষ্ণ গোয়ালিনীদের মায়ের মতো ভালোবাসতেন ও তাঁদের সামনে নৃত্য করতেন।

শ্রীকৃষ্ণ তাঁর ছোটবেলায় এক ফল বিক্রেতা মহিলার কাছ থেকে সমস্ত ফল নিয়ে বদলে একমুঠো ধান দিয়েছিলেন।

তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে চলে যান ওই মহিলা। বাড়িতে গিয়ে ঝুলি খুলেই অবাক হয়ে যান।

ঝুলিতে দেখে প্রচুর হিরে-মণি। এভাবেই বাল্যকালে নানা লীলায় গোকূল আনন্দে ভরিয়ে রাখতেন।

এ বছর সপ্তমী তিথি ১৮ আগস্ট রাত ০৯.২০ পর্যন্ত চলবে এবং এর পরে অষ্টমী তিথি শুরু হবে। যা পরের দিন অর্থাৎ ১৯ আগস্ট রাত ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত থাকবে।

জন্মাষ্টমী ব্রত পালনের জন্য উপকরণ হিসেবে ফুল, আতপ চাল, ফলের নৈবেদ্য, তুলসীপাতা, দূর্বা, ধূপ, দীপ, পঞ্চগব্য, পঞ্চগুড়ি, পাট, বালি, পঞ্চবর্ণের গুড়ো, মধুপক্ক, আসন-অঙ্গুরী-সহ পুজোর আয়োজন করতে হয়।