ইসলামাবাদ: যেদিন কর্তারপুর করিডরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, সেদিনই অযোধ্যা মামলার রায় বেরনোয় উষ্মা প্রকাশ করলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। সর্বসম্মতির ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট শনিবার ১৩৪ বছরের পুরানো রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমি বিতর্ক মামলার রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির পুরোটাই রামমন্দির তৈরির জন্য ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে, পাশাপাশি একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে বিকল্প ৫ একর জমির ব্যবস্থা করে দিতেও কেন্দ্রকে বলেছে। ৩ মাসের মধ্যে কেন্দ্রকে মন্দির তৈরির প্রকল্প তৈরি করতে বলেছে বেঞ্চ। মামলার সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ পক্ষই রায় স্বাগত জানিয়েছে। পাক বিদেশমন্ত্রী অবশ্য অযোধ্যা বিতর্কের রায় ঘোষণা করে কর্তারপুর করিডর সূচনার মতো খুশির অনুষ্ঠানের প্রতি যে ‘অসংবেদনশীলতা’ দেখানো হয়েছে, তাতে ‘গভীর ভাবে ব্যথিত’ বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আর কয়েকটা দিন রায়ের জন্য অপেক্ষা করলে হত না? এমন একটা আনন্দের অনুষ্ঠানের প্রতি যে সংবেদনশীলতার অভাব দেখা গেল, তাতে আমি খুব দুঃখ পেয়েছি। বহু প্রতীক্ষিত কর্তারপুর করিডরের সূচনা প্রসঙ্গে তাঁকে উদ্ধৃত করে ডননিউজটিভি বলেছে, এই সুন্দর অনুষ্ঠানে সামিল হওয়া উচিত ছিল, তা থেকে মনোযোগ ঘোরনোর চেষ্টা করা নয়। এই বিতর্ক একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ব্যাপার। এই সুখের দিনের সঙ্গে তাকে জড়ানো ঠিক হয়নি। ‘ভারতে মুসলিমরা এমনিতেই খুব চাপের মধ্যে আছেন, এই সিদ্ধান্ত তাদের আরও চাপে ফেলবে’ বলেও দাবি করেন কুরেশি।

এই করিডর পাকিস্তানের গুরুদ্বার দরবার সাহিবের সঙ্গে পঞ্জাবের গুরদাসপুরের বাবা নায়ক মন্দিরকে যুক্ত করেছে।
পাকিস্তান অযোধ্যা মামলার রায় বিস্তারিত খতিয়ে দেখেই প্রতিক্রিয়া দেবে বলে জানান কুরেশি। তবে পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ফওয়াদ হুসেন ইতিমধ্যেই রায়কে ‘লজ্জাজনক’, ‘অনৈতিক’, ‘বেআইনি’, ‘জঘন্য’ আখ্যা দিয়েছেন।
পাক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ফিরদৌস আশিক আওয়ান আবার বলেছেন, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দেখাল, তারা নিরপেক্ষ নয়। রেডিও পাকিস্তানের খবর, তিনি বলেছেন, পাকিস্তান কর্তারপুর করিডর খুলে দিয়ে যেখানে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত করছে, সেখানে ভারতে মুসলিম সহ সংখ্যালঘুরা নির্যাতন সইছেন।