জুতোর গাছ! জানুন এই অদ্ভুত গাছের ইতিহাস...
ইউরোপ ও আমেরিকায় জুতোকে গাছে টাঙানোর সঙ্গে সন্তানধারণের তত্ত্ব দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। মানুষ জানেন না, এর আসল কারণ কী। কিন্তু, অনেকে মনে করেন, যৌনজীবন সঠিক না হলেও অনেকে জুতো গাছে টাঙিয়ে রাখেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএধরনের শ্যু-ট্রি হাওয়াই, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, সাউথ আফ্রিকা এবং ইউনাইটেড কিংডমে দেখা যায়।
এমনও জনশ্রুতি যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, সৈনিকরা নিজেদের জুতো এই আশায় গাছে বেঁধে দেন যে, লড়াই থামলে তাঁরা জীবিত ফিরে এই জুতো নেবেন।
উত্তর আমেরিকার মানুষজন অতিরিক্ত জুতো-জোড়া এই গাছে টাঙিয়ে দেন, যাতে যাদের প্রয়োজন, তাঁরা পরতে পারেন।
অনেকের দাবি, মিশিগানে এই গাছের শুরু করে এক সিরিয়াল কিলার। তাঁদের দাবি, ওই সিরিয়াল কিলার কতজনকে হত্যা করেছে, তার প্রমাণস্বরূপ, প্রত্যেকের জুতো ওই গাছে টাঙিয়ে দিত।
স্নিকার্স থেকে শুরু করে স্লিপার্স, স্যান্ডাল, আইস বুটস-- বিভিন্ন ধরনের জুতো এই গাছে দেখতে পাওয়া যায়।
আবার, কয়েকজনের দাবি, চলে যাওয়ার আগে, স্মৃতি হিসেবে নিজের এক পাটি জুতো সকলে গাছে টাঙিয়ে রাখেন।
অনেকেই মানেন, এই গাছের উপস্থিতির আসল কারণ হল-- এমন কিছু ঘটনা বা বিষয় হচ্ছে, যা আগে কখনও হয়নি।
২০০৫ সালে নর্দার্ন এক্সপ্রেসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই জুতো-গাছকে অনেকেই ‘দ্য গ্রেট লিটসভিলে শ্যু ট্রি’ নামে ডাকা হয়ে থাকে।
বহু মানুষের দাবি, ১৯৯৫ সাল থেকে এই শ্যু ট্রি-র দেখা মিলতে শুরু করেছে। তবে, এই গাছ কবে থেকে রয়েছে, তা কারও জানা নেই।
এই শ্যু ট্রি-র নেপথ্য গল্প কারও জানা নেই। মানুষ স্রেফ এর প্রসঙ্গে আন্দাজ লাগাতে পারে।
তবে, মিশিগান একমাত্র নয়। এধরনের জুতো-গাছ বিশ্বের আরও ১০০টি জায়গায় দেখা মেলে।
এহেন জুতোর গাছের দেখা মিলবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিম মিশিগানে। জনশ্রুতি, এখান থেকেই জুতোর গাছের ‘চাষ’ শুরু হয়।
আমরা কথা বলছি ‘শ্যু ট্রি’-র। সাধারণতভাবে, একে কালস্কা শ্যু ট্রি বলে ডাকা হয়।
আপনি ফুল, ফল এবং সব্জির গাছ তো দেখেই থাকেন। কিন্তু কখনও জুতো-গাছ দেখেছেন কি? অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি! পৃথিবীতে এমন একটি জায়গা রয়েছে, যেখানে সহজেই জুতোর গাছের দেখা মিলতে পারে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -