কলকাতা : বাড়িতে কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান হোক বা অন্নপ্রাশন। কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উৎসব উদযাপন। কিংবা কোথাও ভ্রমণে যাবেন। এসবের জন্য শুভক্ষণ দেখে নেওয়ার একটা চল রয়েছে হিন্দুধর্মে। আর তার রেফারেন্স হল- পঞ্জিকা বা পাঁজি। এই বইয়ে উল্লেখ থাকে- কালবেলাদি, কালরাত্রি ও যাত্রা-র কথা । কাজেই, গৃহস্থের বাড়িতে একটি পাঁজি থাকবে না, এমনটা সচরাচর দেখাই যায় না।
কিন্তু, এই পাঁজি লেখা হয় কীভাবে ? এই বই আসলে অনেকটা জ্যোতিষ-শাস্ত্র অবলম্বন করে লিপিবদ্ধ হয়। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই বইয়ে ব্যবহৃত কিছু শব্দবন্ধনী অনেকেরই বোধগম্য নাও হতে পারে। কিন্তু, জ্যোতিষীরা সেগুলি বুঝতে পারেন সহজেই। বিভিন্ন গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবে, মানুষের যে ভাগ্য লেখা হয়ে যায় জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গেই, সেসবের সুসময়, অসময়, কীভাবে এগোলে ভাল ফল মিলতে পারে-এইসব যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা হয় বিভিন্ন পাঁজিতে। তার ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয় ভাগ্যচক্র। তাই, নতুন বছরের শুরুতেই বাঙালির গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকে পড়ে একটা পাঁজি। আমাদের এই প্রতিবেদনে এবার থেকে প্রতিদিনের - কালবেলাদি, কালরাত্রি ও যাত্রা-সহ বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হবে।
আজ ২৫ মাঘ, ৯ ফেব্রুয়ারি-
সূর্যোদয়- সকাল ৬টা ১৯ মিনিট
সূর্যাস্ত- সন্ধে ৫ টে ২৫ মিনিট
কালবেলাদি- ২:৩৮, ৫:২৫
কালরাত্রি- ১১:৫২, ১:২৯
যাত্রা- নেই
শুভকাজ- নেই
(তথ্যসূত্র : বেণীমাধব শীল)
ভুল করেও সিঁড়ির নীচে এই জিনিসগুলি রাখবেন না !
- সিঁড়ির নীচে জুতোর আলমারি এবং গয়নার টাকার আলমারি কখনোই রাখবেন না। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, সিঁড়ির নীচে জুতা ও চপ্পল রাখলে বাড়ির সদস্যদের আর্থিক সঙ্কটে পড়তে হয়।
- যদি সিঁড়ির নীচে কল থাকে, তবে খেয়াল রাখবেন যে সেই কল থেকে যেন জল না পড়ে। কারণ জলের প্রবাহ অর্থের প্রবাহের মতো।
- সিঁড়ির নীচে আবর্জনা ও ডাস্টবিন রাখবেন না। এতে ঘরে বাস্তু দোষ হয়।
- সিঁড়ির নীচে পুজোর ঘর, বাথরুম ও রান্নাঘর করবেন না। এতে ঘরে সুখ শান্তির অভাব হয়।
- প্রতিদিন সিঁড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা উচিত। নোংরা সিঁড়ি কখনই রাখবেন না, এটি ঘরে নেতিবাচকতা নিয়ে আসে।
- সিঁড়ির উপরে অন্ধকার রাখবেন না। আলো এমন হওয়া উচিত যাতে এটি খুব বেশি উজ্জ্বল বা খুব ম্লান না হয়।
- সিঁড়ির দিকটিও যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সিঁড়ি বাড়ির দক্ষিণ দিকে হওয়া উচিত নয়। সিঁড়ির সঠিক দিক উত্তর থেকে পশ্চিমে হওয়া উচিত।
- সিঁড়ির নীচে যে ঘরগুলি প্রতিদিন ব্যবহার করা হয় সেগুলি তৈরি করবেন না। এটি বাস্তুশাস্ত্রে অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়।
ডিসক্লেইমার (Disclaimer): এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই প্রকার কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্যে এবিপি লাইভের কোনও সম্পাদকীয় মতামত নেই। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।