কলকাতা : প্রত্যেক মানুষই তার জন্মের (Birth) সাথে সাথে কুণ্ডলীতে অনেকগুলি যোগ নিয়ে আসে। এর মধ্যে কিছু খুব ভাল এবং কিছু খুব খারাপ। কুণ্ডলীতে অনেক ধরনের অভিশপ্ত যোগ রয়েছে, কাল সর্প যোগও এই দোষগুলির মধ্যে একটি। ভাগ্যচক্রে কাল সর্প (Kal Sarp) দোষ থাকলে সেই ব্যক্তিকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।


কাল সর্প দোষের লক্ষণ-


কাল সর্প দোষ থাকলে সেই ব্যক্তিকে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। কাল সর্প দোষের কারণে সর্বদা শারীরিক ও আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়। এই ত্রুটির কারণে শিশু সংক্রান্ত সমস্যায়ও পড়তে হয়। মানে হয় সে নিঃসন্তান থাকে বা শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। কাল সর্প দোষের কারণে কোনও ব্যক্তি বারবার চাকরি হারায় এবং তাকে অনেক ঋণ নিতে হয়। কুণ্ডলীতে কাল সর্প যোগ থাকলে জ্যোতিষ শাস্ত্রের পরামর্শ নিয়ে সমাধান করতে হবে।


আরও পড়ুন ; এই ভুলগুলি নারীদের সমস্যায় ফেলে, পারিবারিক জীবনেও নেমে আসতে পারে বিপর্যয় !


কাল সর্প দোষ নিবারণের পূজা-


জ্যোতিষ শাস্ত্রে, কাল সর্প দোষ দূর করার অনেক সহজ প্রতিকার দেওয়া হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি সবসময় ঝামেলা থাকে, তাহলে আপনার ঘরে ময়ূরের পালকযুক্ত মুকুট পরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি স্থাপন করা উচিত। প্রতিদিন তাতে পুজো করার পাশাপাশি ওম নমো ভগবতে বাসুদেবায় বা ওম নমো বাসুদেবায় কৃষ্ণায় নমঃ শিবায় মন্ত্রটি জপ করুন। এটি নিয়মিত করলে কাল সর্প দোষের শান্তি হবে।


চাকরিতে সমস্যা সমাধানের জন্য-


যদি কাল সর্প যোগের কারণে চাকরিতে সমস্যা হয় বা আপনি চাকরি পেতে সক্ষম না হন, তবে এই প্রতিকারটি তার জন্য কার্যকর। পলাশ ফুলকে গোমূত্রে ডুবিয়ে শুকিয়ে তার গুঁড়ো বানিয়ে চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে শিবলিঙ্গে ত্রিপুণ্ডের আকার দিতে হবে। ২১ দিন এভাবে করলে আপনার চাকরির সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।


কাজের প্রতিবন্ধকতা দূর করার প্রতিকার-


কুণ্ডলীতে কাল সর্প দোষের প্রভাবে বারবার কাজে বাধা পড়ে। তাই প্রতিদিন ভগবান শিবের পরিবারের পুজো করা উচিত। এর মাধ্যমে আপনার স্থবির সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। খুব রাগ হলে প্রতিদিন শিবলিঙ্গে মিষ্টি দুধে ভাং নিবেদন করুন। এতে করে রাগ প্রশমিত হয়। প্রতিদিন মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করলে কাল সর্প দোষের প্রভাব কমে।


ডিসক্লেমার : (কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রিত তথ্য প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)