কলকাতা : জ্যোতিষশাস্ত্রে (Astrology) রাহুকে একটি অশুভ গ্রহ ধরে নেওয়া হয়। রাহুকে 'ছায়া গ্রহ' বলা হয়। প্রকৃতি অনুসারে, রাহুকে 'পাপী গ্রহ'-ও বলা হয়েছে। সাধারণত রাশিতে রাহুর নাম শুনলেই মানুষের মনে ভয় বাড়তে থাকে। যদিও কোনও গ্রহই শুভ বা অশুভ নয়। বরং এর ফলই শুভ বা অশুভ হয়। রাহু কোনও রাশির আওতাধীন নয়।


রাহু যখন দুর্বল অবস্থায় থাকে, তখন নেতিবাচক ফল পাওয়া যায়। কোনও ব্যক্তির ভাগ্যচক্রে যদি রাহুর দোষ থাকে, তাহলে গোটা জীবনটা সমস্যায় কাটে তাঁর। তাঁকে জীবনে প্রচুর প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। জ্যোতিষশাস্ত্রে এমন অনেক উপায়ের কথা বলা হয়েছে, যার ব্যবহার গ্রহকে শান্ত ও মজবুত রাখার জন্য করা হয়। সেভাবেই রাহুর দোষ দূর করার জন্য সবথেকে সহজ উপায় কী ?


রাহু দোষ দূর করার উপায় ?



  • জন্মকুণ্ডলীতে রাহুর অবস্থান খুব খারাপ হলে বা রাহুর দোষ থাকলে তা দূর করতে রুটির প্রতিকার খুবই কার্যকর বলে প্রমাণিত। টাটকা বা বাসি রুটিতে সরষের তেল মাখিয়ে তা কালো কুকুরকে খাওয়ান। মনে করা হয় যে, ১৫ দিন ধরে এমটা করলে রাহুর দোষ দূর হয়ে যায়।

  • অমাবস্যার দিন কাককে রুটি খাওয়ালে রাহুর অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। রুটিতে চিনি দিয়ে পিঁপড়াকে খাওয়ালে দুর্বল রাহু শক্তিশালী হয়।

  • জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, যেসব কুণ্ডলীতে রাহুর অশুভ প্রভাব রয়েছে, তাঁদের এর অশুভ প্রভাব থেকে বাঁচতে শনি দেব ও ভৈরব ভগবানের পুজো করতে হবে। এছাড়া হনুমান চল্লিশা পাঠ করলেও রাহুর দোষ থাকে না।

  • যদি বাড়িতে প্রায়শই বিরোধ বা মারামারির পরিবেশ থাকে, তবে তার সংশোধন করার জন্য রান্না করার সময় কুকুরের জন্য প্রথম রুটিটি রেখে দিন। এতে পারিবারিক পরিবেশ ভাল থাকবে।

  • খাওয়ার আগে রুটি গোরুর নামে তুলে রাখুন। গোরুকে তা খাওয়ান। এমনটা করলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। যে কোনও রকমের গ্রহ-দোষ থেকে মুক্তি মেলে।

  • রত্নশাস্ত্রে গোমেদকে রাহুর রত্ন হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। মনে করা হয়, এই রত্নটি পরলে শীঘ্রই রাহু দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং জাতকরা খুব ভাল ফল পান।


আরও পড়ুন ; বছরের শুরুতেই শনির কৃপালাভ করবেন এই ২ রাশির জাতকরা, ভাগ্য খুলবে এদেরও