কলকাতা: গভীর সমুদ্র থেকে এই মাছ যখনই সমুদ্রের সৈকতে ভেসে আসে, তা যেন কোনও না কোনও সঙ্কেত বহন করে। তাদেরকে নিয়ে অনেক সময় নানা ধরণের কুসংস্কার রয়েছে। তেমনই এক মাছের দেখা মিলল তামিলনাড়ুতে।
এই মাছের আসল নামটি হল ওরাফিস। একে চলতি ভাষায় ডুমসডে ফিশ হিসাবেও সকলে জেনে থাকে। এর আগে বাবা ভাঙ্গা পূর্বাভাসে বলেছিলেন, এই মাছের দেখা মিললেই নেমে আসে নানা ধরণের বিপর্যয়। সেখানে ভূমিকম্প থেকে শুরু করে নানা ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দেয় বলেই মনে করেন অনেকে।
যেমন, জাপানিরা মনে করেন যদি জলের অতলে থাকা এই মাছের দেখা মেলে তাহলে বিপর্যয় আসবেই। কেউ তাকে আটকাতে পারবে না। এই মাছ জলের অনেক গভীরে থাকে। খুবই বিরল মাছ বলে মনে করা হয়। কারণ তারা সমুদ্রের কয়েক হাজার ফুট নীচে সাঁতার কাটে! এই মাছ ১০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এদের আকৃতি সাপের মতো। সমুদ্র দানবও বলা হয় এই মাছকে। মাছ-বিশেষজ্ঞদের মতে, এরা ৩০০০ ফুট গভীরতায় থাকে। প্রায়ই এদের মৃতদেহ সমুদ্রের তীরে ভেসে থাকতে দেখা যায়। এই মাছ ধরা খুব সহজ নয়। জাপানিরা বিশ্বাস করে, এগুলি সমুদ্রের সাপ। এই মাছ দেখা গেলে ভূমিকম্প হয়।
তবে অনেকে মনে করছেন সমুদ্রের তলায় এই মাছের থাকার উপযুক্ত পরিবেশ ধীরে ধীরে নষ্ট হয়েছে। ফলে সেখান থেকে তারা জলের গভীর থেকে বেরিয়ে আসছে। ফলে এতদিন যাদের বেশি দেখা মিলত না তারা এবার অতি সহজেই জালে ধরা পড়ছে। এর সঙ্গে কোনও কুসংস্কারের সম্পর্ক নেই।
গত ২ জুন তাসমানিয়ায় ২ ফুটের ৪০০ কেজি ওজনের একটি ওরফিশ ভেসে আসে। তখন থেকে শুরু হয় জল্পনা। তাহলে কি এবার পৃথিবীর শেষ দিন আসন্ন? এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত ২০২৫ এর ১৮ ফেব্রুয়ারি মেক্সিকোর সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে ওরফিশ। বিপর্যয়ের ইঙ্গিত বহন করে ওরফিস মেক্সিকো সৈকতে ভেসে আসে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ওই ঘটনার ৩ মাসের মাথায় ফের অস্ট্রেলিয়ায় ডুমস ডে ফিশ দেখা যাওয়ায়, 'সমুদ্রদেবের বাহনের' বিপর্যয়ের খবরে আশঙ্কা ছড়াতে শুরু করেছে।