সিমলা : মেঘভাঙা  বৃষ্টি থেকে ভূমিধস, একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত হিমাচল প্রদেশ। এরই মধ্যে ফের ধাক্কা দিল প্রকৃতি। কেঁপে উঠল পাহাড়ি রাজ্যের মাটি। শুক্রবার সকালে কেঁপে উঠল হিমাচল প্রদেশের চম্বা।  ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৩.৫। আপাতত বড় ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। যদিও ভূমিকম্পের জন্য মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এর আগেই প্রকৃতি তছনছ করে দিয়েছে পর্যটনের রাজ্যের বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে। এবার ভূমিকম্পের আতঙ্ক। সকাল ৬টা ২৩ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। কয়েক সেকেন্ড ধরে চলে কম্পন।  এর প্রভাব ছিল চম্বা এলাকায়।  

সিমলা আবহাওয়া দফতরের মতে, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল চম্বায় । ৩২.৩৬ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৬.১৮ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে।  ভূকম্পনের উৎস ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীরে। আবহাওয়া দফতরের সতর্কতায় বলা হয়েছে,  ভূমিকম্পের সময় খোলা স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। শক্তপোক্ত আসবাবপত্রের নিচে লুকোতে হবে।  দেওয়াল থেকে দূরে থাকতে হবে। তবেই কিছুটা নিরাপদে থাকা সম্ভব। এমনিতেই পার্বত্য এলাকা মাত্রই ভূমিকম্পপ্রবণ।  

প্রাকৃতিক দুর্যোগে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হিমাচল

 হিমাচল প্রদেশ ইতিমধ্যেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত । বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অনেকের আবার হারিয়েছেন মাথার ছাদ, বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় জিনিস। ২০ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই স্বাভাবিকের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে এই রাজ্যে। হড়পা বান, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, ভেঙেচুরে দিয়েছে চারিদিক। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ৭৪০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।  মৃত্যু হয়েছে  ৮৫ জনের । ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বৃষ্টির ফলে, ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়। এছাড়াও ১২৯ জন আহত হয়েছে। এখনও নিখোঁজ বহু। 

দিল্লি-এনসিআরে বৃহস্পতিবার ভূমিকম্প হয়েছিল

গতকালই দিল্লি-এনসিআরে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ দুই বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।   কেন্দ্র ছিল হরিয়ানার ঝাজ্জর জেলায়, যার । রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪.৪ এবং ৩.০। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ঝাজ্জর শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে । মাটির ১০ কিলোমিটার নিচে ভূমিকম্পটির উৎসস্থল। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এর থেকে শিক্ষা নেওয়ার সময় এসেছে। নিয়ম মেনে নগরায়ন, মাটির ধারণক্ষমতা-সহ একাধিক বিষয়ের ওপর জোর না দিলে ভবিষ্যতে বিপদ রোখা যাবে না।