কলকাতা : দোল মানেই সবার রঙে রং মেশানো। আনন্দে সবাইকে সামিল করার উৎসব হোলি। এদিন কী কী করলে উৎসব পজিটিভ এনার্জিতে ভরে উঠবে? কী করলে সৌভাগ্য বাঁধা পড়বে আপনার গৃহে ?
- দোল উৎসব ( Holi Celebration ) মানেই রাধা ও কৃষ্ণের পুজো। মূর্তি ঘিরে নাচ,গান, ভক্তি প্রদর্শন। এই উপাচার ছাড়া হোলি অসম্পূর্ণ। রঙের উৎসবের আগে বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করুন রাধা কৃষ্ণের ( Radha Krishna ) মূর্তি। রাধা , কৃষ্ণ আমাদের কাছে প্রেমের প্রতীক। বসন্তের রঙে ভেসে যাওয়ার আগে দেব-দেবীর পায়ে নিবেদন করুন রঙ। এতে গৃহের মঙ্গল হবে।
- প্রবেশদ্বার বা দরজায় আপনার নাম খোদাই করা আছে কি? অনেকে দোরে ঠিকানা খোদাই করে রাখেন ঠিকই, কিন্তু নিজের নামের প্লেট রাখেন না। মনে রাখবেন বাস্তুশান্ত্র বলছে, হোলির আগে নামের প্লেট লাগালে ইতিবাচক ভাব ফিরে আসে ঘরে। সেই সঙ্গে আসে সৌভাগ্য। হোলির দিন নেমপ্লেটেও দিন ঠাকুরের পায়ে অর্পন করা আবিরের টিকা।
- হোলি উদযাপনের সঙ্গে মুখ মিষ্টি করাটাও জরুরি। শুকনো ফল এবং মিষ্টির আয়োজন রাখতে হবে। খাবারের আয়োজনে সঙ্গে রাখুন ঠান্ডাই। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিথিদের পরিবেশন করার আগে ড্রাই ফ্রুটস ও মিষ্টি অর্পণ করুন সমৃদ্ধির অধিপতি গণেশকে। সিদ্ধিদাতা গণেশের ছবি সাজিয়ে রাখুন প্রবেশ দ্বারের কাছেই।
- গোলাপী রং ভুলবেন না। দোলে গোলাপি রং সকলেই কমবেশি ব্যবহার করেন। মনে রাখবেন, হোলিতে সৌভাগ্য ধরে রাখতে গোলাপী রং অবশ্যই নিয়ে আসুন। বাস্তশাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গোলাপি প্রশান্তি এনে দেয় । সেই সঙ্গে আনে পজিটিভ এনার্জি। ঘরে সমৃদ্ধি নিয়ে আসে গোলাপি।
- বাস্তু নিয়ম অনুসারে জুতো দরজার সামনে রাখা উচিত নয় । কারণ তা সৌভাগ্যকে দূরে সরিয়ে দেয়। হোলির সময় বিশৃঙ্খল ভাবে প্রবেশদ্বারের সামনে জুতো রাখবেন না। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। হোলির আগে বাড়িতে বড় জুতোর ব়্যাকের ব্যবস্থা করুন। তাহলে ঘর তো দেখতে সুন্দর হবেই। সেই সঙ্গে ঘরের পরিচ্ছন্ন ভাব সৌভাগ্যও ডেকে আনবে।
ডিসক্লেমার : (কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় নিয়ন্ত্রিত তথ্য প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)