কলকাতা: শক্র (Venus) একটি বিশেষ গ্রহ। বলা হয় জন্মছকে শুক্রের (Venus) অবস্থান ভাল হলে একজন মানুষ ধন-সম্পদ অর্থের অধিকারী হন। এ ছাড়াও নাম-যশ, খ্য়াতির শীর্ষেও পৌঁছতে পারেন সেই ব্যক্তি। শুক্র গ্রহ রূপ, যৌবন, আকর্ষণ, সৌন্দর্য, সম্পর্ক, সামাজিক যোগাযোগ, অর্থের দিক মজবুত করে। যাঁরা জ্যোতিষচর্চা করেন তাঁদের মতে শুক্রকে সন্তুষ্ট করতে পারলে সুখী হবেন জাতক-জাতিকারা। বলা হয়ে থাকে যে সকল ব্যক্তির জন্ম কোনও মাসের ৩ , ১২, ২১-এ হয় তাঁরা শুক্রের জাতক বা জাতিকা। অর্থাৎ তাঁরা সৌন্দর্য, খ্যাতি, অর্থ সহজেই আকর্ষণ করেন অন্যদের থেকে অনেক বেশি। তাহলে বাকিরা? জ্যোতিষ শাস্ত্র বলছে, শুক্রের প্রতিকার করে এবং তাঁকে সন্তুষ্ট করেও মান-যশ, অর্থের অধিকারী হতে পারেন?


চলুন জেনে নেওয়া যাক শুক্রকে শক্তিশালী করার কয়েকটি উপায়



  • যেহেতু শুক্র সৌন্দর্যের গ্রহ, তাই সব সময় চেষ্টা করুন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার। দামি ব্র্যান্ড হতেই হবে এমন কোনও কথা নেই, কিন্তু চেষ্টা করুন সব সময়ে পরিষ্কার জামা-কাপড় পড়ুন। ছেঁড়া পোশাক পড়বেন না।

  • রোজ সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করুন। খুব দামি পারফিউমের প্রয়োজন নেই, তবে পারফিউম ব্যবহারে শুক্র গ্রহে প্রভাব পড়ে।

  • প্রতি শুক্রবার স্নানের জলে গোলাপ জল মিশিয়ে সেটি দিয়ে স্নান করুন, এতে শুক্র সন্তুষ্ট হয়। 

  • সকালে কাজে বেরোনোর আগে কেশর এবং সাদা মিষ্টি খেয়ে বাইরে যান।

  • সাদা জামাকাপড়ে আকৃষ্ট হয় এই গ্রহ। কাজেই চেষ্টা করুন এই রঙের পোশাক পরতে। 

  • প্রতিদিন ঘরে ধূপ ধুনোর গন্ধ ছড়ান। 

  • স্ফটিক শুক্রকে আকর্ষণ করে। দরজায় স্ফটিক বল ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। বা স্ফটিকের মালাও পরতে পারেন।

  • শুক্রকে সন্তুষ্ট করতে সুইচ নম্বর ২৪ ব্যবহার করতে পারেন। কীভাবে করবেন? বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, বাঁ হাতের চেটোয়, হাতের বুড়ো আঙুলের নিচের অংশে এই সংখ্যাটি লিখে দিন শুরু করতে পারেন। 

  • হীরে শুক্রের রত্ন। জ্যোতিষের পরামর্শ নিয়ে এই রত্ন ধারণ করতে পারেন। তবে বাজারের সাধারণ দামের হীরের সঙ্গে রত্নের পার্থক্য রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন হীরে অনেকেরই সহ্য হয় না। এতে ক্ষতিও হতে পারে। তাই কোনও রত্ন ধারণের আগে পরামর্শ নিন

  • মা লক্ষ্মীর আরাধনা করুন। এতেও শুক্র সন্তুষ্ট হবে।


আরও পড়ুন: Vastu Tips : আপনি কি এঁটো হাত থালাতেই ধুয়ে নেন? ডেকে আনছেন দুর্ভাগ্য


(উপরে উল্লেখিত প্রতিবেদনটির কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।  সবটাই  প্রচলিত ধারণার ওপর ভিত্তি করে বলা। নিজের ওপর প্রয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন থাকুন)