কলকাতা : হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরাণ এবং বৈষ্ণব সম্প্রদায় সম্পর্কিত একটি গ্রন্থ গরুড় পুরাণে ভগবান বিষ্ণু উল্লেখিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। গরুড় পুরাণের জ্ঞান লাভ করে আপনি সফল ও সুখী জীবনযাপন করতে পারেন। এছাড়াও, এই পুরাণ ভাল কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে। যার ফলে মানুষ মৃত্যুর পরে মোক্ষ লাভ করে। তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত গরুড় পুরাণে উল্লেখিত বিষয়গুলি মেনে চলা।


গরুড় পুরাণ অনুসারে, মিথ্যাবাদী একজন 'অপরাধীর' মতো। এই ধরনের লোকেরা ঈশ্বরের কৃপা পায় না। কারণ, তারা তাদের মিথ্যার দ্বারা অন্যকে বিভ্রান্ত করে, প্রতারণা করে সুবিধা নেয়। তাই গরুড় পুরাণে এমন লক্ষণের কথা বলা হয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি সহজেই জানতে পারবেন যে আপনার সামনের মানুষটি আপনার সঙ্গে মিথ্যাচার করছে কি না বা মিথ্যা বলছে কি না।


আসুন জেনে নিই এই লক্ষণগুলি সম্পর্কে-



  • শারীরিক ভাষা - মানুষ মুখে যেটা বলে, সেটাই কানে শোনা যায়। কিন্তু, শারীরিক ভাষাও উল্লেখযোগ্য। যা দেখে সত্যি-মিথ্যার ফারাক করা যায়। তাই, যখন কারও সঙ্গে কথা বলবেন তখন তার শারীরিক ভাষাও লক্ষ্য করুন।

  • হুড়োহুড়ি করা : কেউ যদি হুড়োহুড়ি করে কিছু বলেন, তাহলে বুঝবেন তিনি মিথ্যা বলছেন। কারণ, তিনি প্রশ্ন এড়াতে চাইছেন।

  • কথা বলার সময় যখন কারও কাঁধ ঝুলে যায় বুঝুন তিনি আপনার কাছ থেকে কিছু লুকাচ্ছেন।

  • যদি কথা চলার সময় সামনের মানুষটি আপনাকে বলার চেষ্টা করেন যে তিনি কতটা ক্লান্ত, তবে এটি একটি লক্ষণ যে সেই ব্যক্তি আপনাকে মিথ্যা বলছেন যে তিনি আপনার কথা শুনছেন। অথচ আপনি যা বলছেন তাতে তাঁর কোনও আগ্রহ নেই।

  • যদি কেউ চোখের পলক না ফেলে, কোনও হ্যাঁ না দিয়ে শুধু মাথা উঁচু নিচু করে কথা বলেন, তাহলে বুঝুন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আপনার সঙ্গে কথা বলার কোনও ইচ্ছা নেই। 


প্রসঙ্গত, গরুড় পুরাণ নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক বিশ্বাস রয়েছে। প্রায়শই লোকেরা মনে করে যে এটি পরিবারের সদস্যের মৃত্যুর পরেই বাড়িতে পড়া হয়। তবে গরুড় পুরাণ প্রধানত তিনটি ভাগে বিভক্ত (আচারখণ্ড, ধর্মকাণ্ড এবং ব্রহ্মকাণ্ড)। এতে আচারখণ্ড বা পূর্বখণ্ড, যা গরুড় পুরাণের প্রথম অংশ, যে কোনও সময় পাঠ করা যায়।