সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত ভোটের সময় জেলায় জেলায় দেখা গেছে অস্ত্রের ঝনঝনানি।ঝরেছে রক্ত। ঘটেছে প্রাণহানি। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট ( Loksabha )। তার আগে ফের  পুলিশের তৎপরতায় বানচাল হল মালদা থেকে কলকাতায় অস্ত্র পাচারের ছক। উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বাস থেকে গ্রেফতার করা হয় মহিলা অস্ত্র ( woman arms dealer arrested) ব্য়বসায়ীকে। ধৃতের নাম পূজা বিশ্বাস। 


কে এই মহিলা অস্ত্র ব্য়বসায়ী? সে বারাসাতের আলগরিয়ার বাসিন্দা। উদ্ধার করা হয়েছে ১২টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৪টি ম্যাগাজিন। শুল্ক দফতরের কাছ থেকে খবর পেয়ে শুক্রবার আলগরিয়া এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তল্লাশি চালায় দত্তপুকুর থানার পুলিশ।


এরপর মালদা-কলকাতা রুটের বাস থেকে মহিলা অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্রগুলি পাচারের উদ্দেশ্যে মালদা থেকে কলকাতায় আনা হয়েছিল। নেপথ্যে বড় কোনও চক্র রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ।  


আরও পড়ুন :



এই প্রথম নয়, সাম্প্রতিক অতীতে পুলিশের তৎপরতায় আরও অস্ত্র পাচারের ছক বানচাল হয়। কিছুদিন আগে এই মালদা থেকেই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। মালদার ইংরেজবাজারের পিয়াস বাড়ি থেকে একটি পাইপ গান ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে বিএসএফ। এক কাফ সিরাপ পাচারকারীকে দেখে ধাওয়া করেন বিএসএফের জওয়ানরা। ধাওয়া করতে ব্য়াগ ফেলে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে যদুপুর হাটখোলায় হানা দিয়ে একটি পাইপ গান ও ২ রাউন্ড কার্তুজ সহ তাফিজউদ্দিন শেখ নামে এক দৃষকৃতীকে গ্রেফতার করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। 


আবার সেদিনই, মুর্শিদাবাদের ডোমকল বাস স্ট্য়ান্ড থেকে দেশি বন্দুক, গুলি সহ গোলাম মোস্তাফা নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বেলডাঙার মির্জাপুরের দক্ষিণ মাট পাড়ায় অভিযান চালিয়ে একটি পাইপ গান ও ২ ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করে। মনিরুল হক নামে হেফাজতে থাকা এক দুষকৃতীকে জেরা করে অস্ত্র ও বোমার সন্ধান মেলে। ওই দুষ্কৃতীকে নিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।  


আর পুজোর ঠিক আগেই  দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা থেকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার হয় এক দুষ্কৃতী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে  রাতে  জীবন মণ্ডলের হাট এলাকায় ওঁৎ পেতেছিল বকুলতলা থানার পুলিশ। অস্ত্র সমেত হাতেনাতে গ্রেফতার করে সুভাষ মণ্ডল নামে এক দুষ্কৃতীকে। ধৃতের বাড়ি মগরাহাটে। তার কাছ থেকে একটি ওয়ান শটার ও এক রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। পুজোর সময় কী কারণে অস্ত্র নিয়ো ঘোরাঘুরি করছিল, খতিয়ে দেখছে বকুলতলা থানার পুলিশ।