কলকাতা: আর কদিন পরই মহাশিবরাত্রি (mahashivratri)। চলতি বছরের পয়লা মার্চ, মঙ্গলবার পড়েছে মহাশিবরাত্রি। সারাবছর ধরে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করেন শিবভক্তরা। প্রতিমাসেই শিবরাত্রি পালিত হয়। কিন্তু মহাশিবরাত্রি দেবাদিদেবের আরাধনার সবচেয়ে বড় দিন। এমনটাই মনে করেন শিবের (lord shiva) উপাসকরা। এই দিনে ভারতের প্রতিটি শিবমন্দিরে ভিড় উপচে পড়ে ভক্তদের। এই দিনের বিশেষ তাৎপর্য কী? জেনে নেওয়া যাক মহাশিবরাত্রির অজানা কিছু তথ্য।


১. মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষে মহাশিবরাত্রি পালিত হয়ে থাকে। শিবের উপাসকরা বলে থাকেন, এই তিথি মহাদেবের সবচেয়ে পছন্দের। 


২. মহাশিবরাত্রিতে নিয়ম, আচার মেনে শিবপুজো করলে দেবাদিদেব মহাদেবের আর্শীবাদ (blessings) পান উপাসকরা। 


৩. কঠোরভাবে উপোস করে মহাশিবরাত্রির দিন পুজো করতে হয়।  


৪. কথিত রয়েছে, এই দিনে পুজো করলে সহজেই সব মনস্কামনা পূর্ণ হয়ে থাকে। 


৫. পুরাণ অনুযায়ী, মহাশিবরাত্রির রাত সারা বছরের মধ্যে সবচেয়ে অন্ধকার রাত


৬. কথিত রয়েছে, এই দিনটিতেই দেবাদিদেব মহাদেব এবং পার্বতীয় বিবাহ হয়েছিল


৭. শিব ও শক্তি--এই দুই শক্তির মিলনের দিনটিতে মহাশিবরাত্রি (mahashivratri) পালন করা হয়ে থাকে।


৮. পুরাণমতে, মহাশিবরাত্রির ব্রত করলে সংযম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ রজঃগুণ  এবং তমঃগুণগুলির সংযম শক্তি বাড়ে।


৯. অবিবাহিত থেকে বিবাহিত, নারী থেকে পুরুষ সকলেই শিবের উপাসনা করতে পারেন।


কী অর্পণ করবেন?
শিবলিঙ্গে জল বা দুধ (milk) ঢালা যায়। সবাই এই দিনটিতে সেটাই করে থাকেন। নিখুঁত বেলপাতা শিবঠাকুরের খুবই পছন্দের। মহাদেবের পছন্দের একাধিক ফুল রয়েছে। ধুতরো, আকন্দ ফুলের মালা শিবের খুব পছন্দের। এছাড়াও অপরাজিতা, শঙ্খপুষ্পী, নাগকেশরের মতো ফুলও অর্পণ করা যায়। 


পুজোর আগের দিন সংযম করতে হয়। আমিষ একেবারেই চলবে না। অনেকে ভাত খান না। সাবু খাওয়া যায়। ময়দার খাবারও খাওয়া যায়। তবে সাধারণ লবন একেবারেই খাওয়া যাবে না। ব্যবহার করা যাবে সন্দক নুন।    


আরও পড়ুন: কোন মন্ত্রে বেলপাতা অর্পণ, আর কীসে তুষ্ট হন দেবাদিদেব