কলকাতা : বাড়িতে মানি প্ল্যান্ট (Money Plant) বসানো খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। মনে করা হয় যে, যে বাড়িতে এই গাছ থাকে, সেই বাড়িতে সবসময় টাকাপয়সা ও সুখ-সমৃদ্ধি বিরাজ করে। কিন্তু, এই মানি প্ল্যান্ট বসানোর কিছু নিয়ম রয়েছে।


বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ঘরে মানি প্ল্যান্টের পাতা রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে, আর্থিক চিন্তা দূর করতে বা আর্থিক স্থিতিশীলতা আনতে মানি প্ল্যান্ট লাগানো খুবই কার্যকর। তাছাড়া যে ঘরে মানি প্ল্যান্ট থাকে, সেখানে মা লক্ষ্মীর কৃপা থাকে।


বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে (According to Vastu Shastra), মানি প্ল্যান্টের পাতা লাগানোর কিছু নিয়ম আছে। যদি বাস্তুর এই নিয়মগুলি পালন না করা হয়, তাহলে লাভের থেকে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। মানি প্ল্যান্ট লাগানোর সময় কিছু নিয়ম মাথায় রাখতে হবে। 


কোন দিকে মানি প্ল্যান্ট রাখবেন আর কোন দিকে রাখবেন না ?



  • বাস্তু শাস্ত্রে যে কোনও বিষয়ে দিক নির্দেশ করা থাকে। সেই অনুযায়ী, বাস্তু শাস্ত্র বলছে, মানি প্ল্যান্ট কখনো উত্তর-পূর্ব দিকে রাখবেন না। এমনটা করলে বাড়ির সদস্যকে আর্থিক সমস্যার মোকাবিলা করতে হতে পারে। 

  • মানি প্ল্যান্ট সবসময় দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বসান। কারণ, এই দিকটাকে ভগবান গণেশের দিক বলে মনে করা হয়। তাই বিশেষ এই দিকটাতে মানি প্ল্যান্ট বসালে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে। 

  • বাস্তু অনুসারে, মানি প্ল্যান্ট যেভাবে বাড়ে, সেইমতো ব্যক্তি উন্নতি করতে থাকে। খেয়াল রাখবেন, মানি প্ল্যান্টের লতা যেন মাটি না ছোঁয়। এই লতা নীচে নামার অর্থ, আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।

  • এই গাছকে কখনো শুকোতে দেবেন না। যদি এর পাতা শুকিয়ে যায় বা হলুদ হতে থাকে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তা সরিয়ে ফেলুন। শুকিয়ে যাওয়া মানি প্ল্যান্ট ঘরে দুর্ভাগ্য ডেকে আনে।

  • মানি প্ল্যান্ট কখনো ঘরের বাইরে বসাবেন না। বলা হয় যে, বাইরের কারও নজর পড়লে মানি প্ল্যান্টের বৃদ্ধি থমকে যায়। এর প্রভাব ঘরের কোনও ব্যক্তির উপর পড়ে। এই গাছ সবসময় ঘরের ভেতরেই বসান।

  • বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে, মানি প্ল্যান্টের লেনদেন অশুভ । এমনটা করলে শুক্র গ্রহ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।  


ডিসক্লেইমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই প্রকার কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্যে এবিপি লাইভের কোনও সম্পাদকীয় মতামত নেই। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।