কলকাতা : শনিকে সবাই ডরায়।  শনি যখনই তার রাশি পরিবর্তন করে, তখন এটি এই গ্রহ সব রাশির মানুষকে প্রভাবিত করে। শনি যখন কোনো রাশিতে যায়, তখন সেখানে প্রায় আড়াই বছর থাকে। তারপর তার রাশি পরিবর্তন করে। শনির ধীর গতি। তাই শনির প্রভাব ভাল হোক বা মন্দ, তার প্রভাব দীর্ঘকাল থাকে। শনিদেবকে ফলাফল দাতা বলা হয় তাই।  এবং ন্যায়ের দেবতা মনে করা হয়। তবে শনিদেব সকলকে একই রকম কষ্ট দেনা । কাজের ভিত্তিতেই মানুষকে ফল প্রদান করেন শনি। শনির সাড়ে সাতি বা ধইয়া চললে সময়টা কঠিন হতে পারে।  ২০২৫ এ কোনো কোনো রাশি সাড়ে সাতি ও ধইয়ার জন্য কঠিন সময়ের মধ্যে পড়বে। 


মেষ রাশি 
২০২৫ সালের মার্চ থেকে, মেষ রাশিতে শনির সাড়ে সাতি শুরু হবে। তাই এই রাশির জাতকদের অসুবিধা বাড়বে। মেষ রাশির জাতকদের আর্থিক অবস্থার অবনতি হবে। কিছু বড় ক্ষতি হতে পারে। তবে ন্যায়নিষ্ঠ সৎ মানুষদের ক্ষতি স্পর্শ করবে না। শনি নিজেই তাঁদের কষ্ট দেন না। কারণ ন্যায়নিষ্ঠদের প্রতি শনির সর্বদা ভাল নজর। এই সময় আয় কমতে পারে। ব্যয় বাড়ে। এছাড়া শারীরিক সমস্যাও আসতে পারে। হাড় সংক্রান্ত রোগ হতে পারে। সাবধানে চলা ফেরা করতে হবে। 


কুম্ভ 
সাড়ে সাতির  শেষ পর্বে কুম্ভ রাশির জাতকদের জন্য অনেক সমস্যা হতে পারে। আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। চাকরিতে বারবার সমস্যা দেখা দেবে, তবে সৎ চাকুরেরা সমস্যায় পড়বেন না। সহকর্মীদের সঙ্গে সমস্যা হতে পারে। তবে সবার নয়। বড় ক্ষতি এড়াতে ভাল - খারাপ মানুষের মধ্যে ফারাকটা বুঝতে হবে।  কঠোর পরিশ্রমের পুরষ্কার পাবেন, তবে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হতেও পারেন। ব্যবসায়ীরাও সমস্যায় পড়তে পারেন। খরচ বাড়বে। 


মীন 
শনির সাড়ে সাতির ২য় দশা শুরু হচ্ছে। এই সময়টা অত্যন্ত কষ্টদায়ক বলে মনে করা হয়। মীন রাশিতে শনির সাড়ে সাতির দ্বিতীয় দশা ধন-সম্পদ ও কর্মজীবন সংক্রান্ত সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তবে সৎ পথে থাকলে শনিদেবই সব সমস্যা কাটিয়ে দেবেন। স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। আর্থিক অবস্থা দুর্বল হতে পারে, তবে সবার একই রকম সমস্যা আসে না। শনিদেব সবাইকে কর্মফল অনুসারে ফল দেন। ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন চাকরি খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে যান। 


 


ডিসক্লেমার : কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।