কলিযুগে বিচারকের চেয়ার সামলান শনি দেব। তিনি বাংলার ঘরে ঘরে পূজিত বড় ঠাকুর নামে। তাঁর রাগ নিয়ে সকলেই বড় চিন্তিত। এক-একটি রাশিতে লম্বা সময় কাটান শনি। প্রতি রাশিতে শনির অবস্থান আড়াই বছর করে। আর প্রতি রাশিতে শনির সাড়ে সাতি থাকে সাড়ে সাত বছর। আর এই পর্যায়কে আবার ৩ টি ধাপে ভাগ করা হয়। এই তিনটি ধাপে নানা ভাবে শনিদেবের নজরে থাকেন জাতক। কর্মফল অনুসারে কখনও বেশি যাতনা, কখনও কম যাতনা থাকে। তবে শনিদেবের সাড়ে সাতির সময়টা বড্ড সাবধানে, সন্তর্পণে কাটাতে হয়। আগামী মার্চ মাসে শনি দেব যাবেন কুম্ভ থেকে মীনে। আর তার আগে বাকি রয়েছে ১০০র বেশি দিন। এই সময়টা কয়েকটি রাশির জন্য লটারি লেগে যাওয়ার মতো । 


শনি বর্তমানে তার মূল ত্রিভুজ রাশি কুম্ভ রাশিতে বিরাজ করছে, আগামী  ২৫ মার্চ  পর্যন্ত শনি এই রাশিতেই থাকবে। এরপর শনি মীন রাশিতে প্রবেশ করবে। এখন এই বাকি দিনগুলিতে কোনও কোনও লাশির কপাল খুলে যেতে পারে রাজার মতো।  এই সময়কাল ৪টি  রাশির জন্য খুব উপকারী হবে। কুম্ভ রাশিতে শনি আগামী ১৩২ দিন কয়েকটি রাশির জাতকদের জন্য শুভ ফল এনে দেবে। 


রাশি মেষ হলে এই সময়ের মধ্যে, আপনার অনেক দিনের আটকে থাকা কাজগুলি সম্পূর্ণ হবে। সমাজে সম্মান বাড়বে। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ বজায় থাকবে। অনেকদিন ধরে চলা আর্থিক উদ্বেগ দূর হবে।  আয়ের নতুন পথ খুলে যেতে পারে। 


কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করছেন শনি। সিংহ রাশির জাতকদের জন্য খুব উপকারী প্রমাণিত হবে এই সময়টা। এই সময়ে আপনি আপনার বাবা ও মায়ের কাছ থেকে ভালরকম সমর্থন পাবেন। আর্থিক স্থিতিশীলতা আসতে পারে, যা আপনি বেশ কিছুদিন ধরেই চাইছিলেন। আরও ১৩২ দিন কুম্ভে থাকবেন বড়ঠাকুর। এতে এই রাশির জীবনে সুখ এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে । আগে করা  বিনিয়োগগুলি দুর্দান্ত লাভ নিয়ে আসবে। 


কুম্ভ রাশিতে শনির উপস্থিতি তুলা রাশির জাতকদের জন্যও যথেষ্ট উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। সময়টা কাজে লাগাতে হবে। ভাগ্য তো কাজ করবেই, তবে ফল পাবেন পরিশ্রম করলে। আগামী ১৩২ দিনের এই সময়টি তুলা রাশির জাতকদের জন্য খুব অনুকূল । এই সময়ের মধ্যে শুধু আপনার স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বাকি দিন মসৃণই থাকবে। শুধু কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। আর শনির নেক নজরে থাকতে সৎ জীবনযআপন করাটাও জরুরি। 


আরও পড়ুন :


২০২৫ এ সরস্বতী পুজো এই তারিখেই, কেউ খুশি, কারও কপালে দুশ্চিন্তা


ডিসক্লেমার : কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।