আগামী বছর ২৯ মার্চ শনি কুম্ভ রাশি থেকে মীন রাশিতে যাত্রা করবে। শনির ( Shani ) এই পরিবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এর ফলে মীন, মেষ, বৃষ রাশির জাতক জাতিকারা শনির সাড়ে সাতিতে ( Sare Sati ) পড়ে যাবেন। যদি এই দশাতেও ভাল থাকতে চান, তাহলে মন জিতে নিন শনি দেবের। তার জন্য মানতে হবে কিছু ছোট ছোট নিয়ম। কিছু রীতিপালন করলে সাড়ে সাতির প্রকোপ কমে যায়। জেনে নিন এই ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে।
কারা কারা সতর্ক থাকবেন
মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের ২০২৫ সালের মার্চের পরে সতর্ক থাকতে হবে। বৃষ রাশির জাতক জাতিকারা চাকরিতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন। ২০২৫ সালে মীন রাশির জাতকদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। মীন রাশির জাতকদের তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি অনেক বেশি মনোযোগ দিতে হবে। শনিদেবকে ন্যায়ের দেবতা মনে করা হয় । তিনি প্রত্যেককে তাঁর কর্ম অনুসারে ফল দেন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শনিদেবের আশীর্বাদপ্রাপ্ত মানুষদের জীবনে অনেক উন্নতি হয়। শনির সাড়ে সাতিতে আটকা পড়া মানুষকে জীবনে অনেক কষ্ট পেতে হয়। এই সময় এই নিয়মগুলি মানলে জীবনে অনেকটাই স্বস্তি মিলতে পারে।
কীভাবে তুষ্ট করবেন বড়ঠাকুরকে
হিন্দু ধর্মে পিপল গাছকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছে। মনে করা হয়, এই গাছে সব দেবতা ও পিতৃপুরুষের বাস। বিশেষ করে শনিকে তুষ্ট করার জন্য পিপল গাছ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শনিবার পিপল গাছের পুজো করলে শনিদেব প্রসন্ন হন। প্রতি শনিবার পিপল গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালিয়ে হনুমান চালিসা পাঠ করুন। এই প্রতিকার করলে শনি যন্ত্রণা ও অর্ধেক উপশম হয়। এই প্রতিকারে অশুভ প্রভাব থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
শনিবার সকালেই পিপল গাছে গুড় মিশ্রিত জল নিবেদন করুন এবং ধূপ জ্বালিয়ে সাত বার প্রদক্ষিণ করুন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে সন্ধ্যায় পিপল গাছের নিচে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালালে পিপলের অদৃশ্য শক্তি সব অশুভ প্রভাব কাটাতে সাহায্য করে। ব্রহ্ম পুরাণ অনুসারে, শনিবার পিপল গাছের স্পর্শে সমস্ত কাজ সিদ্ধ হতে শুরু করে। এই দিনে পিপল গাছকে দুই হাতে স্পর্শ করে শিকড়ে জল নিবেদন করুন। এতে শনির কুদৃষ্টি দূর হয়।
শাস্ত্র মতে পশ্চিমমুখী হয়ে পিপলে জল নিবেদন করলে শনি দোষ কেটে যায়। রাশিতে শনি দোষ থাকলে প্রতি শনিবার পিপল গাছের পুজো করুন। এতে ঘরের অশুভ প্রভাব দূর হয়। প্রতি শনিবার পিপল গাছের পুজো করা শনির সাড়ে সাতি এবং ধৈয়ার খারাপ প্রভাব দূর হয়।
ডিসক্লেমার : কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।