জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, শনি যখন প্রতিগামী হয় , তখন এর প্রভাব স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। কখনও-সখনও তিনগুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। এই কারণেই মানুষ শনির এই গোচরকে ভয় পায়। যখন শনি মীন রাশিতে থাকে ( যা জল, ধর্ম এবং মুক্তির প্রতীক), তখন সমগ্র বিশ্বের জন্য  অত্যন্ত কঠোর সময় হয়ে ওঠে। জ্যোতিষশাস্ত্রের বই ফলদীপিকা অনুসারে, যখন শনি বিপরীতমুখী হয়, তখন এটি দীর্ঘস্থায়ী যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির সূচনা করে। অর্থাৎ, এর প্রভাব দেশ এবং বিশ্বের উপরও দেখা যায় । সমাজ ও রাজনীতিও প্রভাবিত হয়। এর ব্যাপক প্রভাব সেইসব দেশে দেখা যায় যেখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রয়েছে, কারণ শনি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার  কারক। শনি দেবকে ন্যায়বিচার ও কর্মের দেবতা বলা হয়।  এই বছর ২৯শে মার্চ ২০২৫ তারিখে শনি গ্রহ কুম্ভ রাশি থেকে মীন রাশিতে অবস্থান বদল করেছে।  শনির এই গোচরের সময়, দেশ ও বিশ্বে প্রভাব পড়ে থাকে।  এখনদেব শনি প্রতিগামী অর্থাৎ বিপরীত দিকে যাবেন। শনির এই প্রতিগামী গতি কয়েকটি রাশির জন্য উপকারী এবং অন্যদের জন্য ক্ষতিকর।  এই বছর, জুলাই মাসে শনি প্রতিগামী হতে চলেছে। শনি দেব প্রায় ১৩৯ দিন প্রতিগামী গতিতে চলবেন। শনি দেব বছরে একবার দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিগামী হবেন। শনি ১৩ জুলাই থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিগামী অবস্থা্য় থাকবে। 

জ্যোতিষশাস্ত্রে এবং নয়টি গ্রহের মধ্যে শনির একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। ন্যায়বিচার ও কর্মের প্রধান শনি, যাঁরা ভাল কাজ করেন, তাঁদের ভাল ফল দেন শনি।  যাঁরা খারাপ কাজ করেন তাঁদের শাস্তি দেন। শনিই একমাত্র গ্রহ যে আমাদের কর্ম অনুসারে ফল দেয়। এমন পরিস্থিতিতে, শনির প্রতিগামী গতির সময় কোনও কোনও রাশির বিশেষ উপকার হবে। 

শনির প্রতিগামী গতির  সময় তুলা রাশির জাতক জাতিকারা অনেক সুবিধা পাবেন। বছরের পর বছর ধরে আটকে থাকা যেকোনো কাজ এই সময়কালে সম্পন্ন হবে বলে মনে হচ্ছে। আদালতের মামলায় আপনার স্বস্তি পেতে পারেন। পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে চলমান বিরোধের সমাধান হতে পারে। তুলা রাশির জাতকদের জীবনে প্রেম বাড়তে থাকবে। চাকরিজীবীরা কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি পেতে পারেন। তবে এ সময় কোনও অন্যায় কাজ করা এড়িয়ে চলুন। শনিবার দুই বার করে শনি চালিশা পাঠ করা উপকারে আসতে পারে। 

ডিসক্লেমার : কোনও রাশির জাতক বা জাতিকার ভাগ্যে কী রয়েছে সেই সংক্রান্ত কোনো মতামত এবিপি লাইভের নেই। এবিপি লাইভ জ্যোতিষ সম্পর্কিত কোনো সম্পাদকীয় / সম্পাদক-নিয়ন্ত্রিত তথ্য, পরামর্শ প্রদান করে না। প্রদত্ত পরামর্শ ও তথ্য প্রয়োগের আগে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন