নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবারই, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ৭ দিনের মধ্যে 'দাগি'দের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু ৭ দিন নয়, ২ দিনের মধ্যেই, তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু এই নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই প্রেক্ষিতে SSC মামলায় শুনানি সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টে যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকদের আইনজীবীর অভিযোগ, 'স্কুল সার্ভিস কমিশনের তালিকায় অনেক দাগি প্রার্থীর নাম নেই'। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।

তবে, ন্যূনতম নম্বর ৫০ শতাংশ করার আর্জি, শূন্যপদ সংক্রান্ত আবেদন শোনেনি সুপ্রিম কোর্ট। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী নির্দেশ আগেই দিয়েছে আদালত, মামলার সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ নেই, মন্তব্য আদালতের।

বারবার SSC-কে চাল-কাঁকর আলাদা করতে বলেছে আদালত। কিন্তু তা করেনি SSC। যার ফলে অযোগ্যদের সঙ্গে যোগ্যদের ভবিষ্যতও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এরইমধ্যে, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, ৭ দিনের মধ্যে 'দাগি'দের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তালিকায় কারচুপি করা হলে তদন্তভার CBI’কে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেয়। 

বৃহস্পতিবার SSC-র আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, যদি অভিযোগকারী আইনজীবী প্রমাণ করতে পারেন যে, আবার ‘দাগি’দের নির্বাচিত করা হয়েছে, তাহলে কমিশনকে কড়া ব্যবস্থা মুখে পড়তে হবে। তালিকায় কারচুপি করা হলে আদালত সেটা CBI-কে দেবে। যাতে তারা ‘দাগি’দের খুঁজে বের করতে পারে।

এদিকে, SSC-র প্রকাশ করা চাকরিহারা 'দাগি'দের তালিকায় তৃণমূল-যোগের উদাহরণ ভুরি ভুরি। 'দাগি' শিক্ষক বিতর্কে নাম জড়াল বিজেপিরও। বিরোধী শিবিরের স্পষ্ট অভিযোগ, এসএসসি- র প্রকাশিত এই তালিকা অসমপূর্ণ ও অস্বচ্ছ। আগামী ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসসির নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরীক্ষা রয়েছে। সেখানেও দাগিদের প্রায় ৭৮ শতাংশই আবেদন করে বসেছিলেন! এমনকী তাদের অ্যাডমিট কার্ডও ইস্যু হয়ে গেছিল। সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশের পর, শনিবার সেসব অ্যাডমিট কার্ড বাতিল করে দিয়েছে কমিশন।   

অন্যদিকে, এরই মধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হলেন SSC-র দাগি প্রার্থীদের একাংশ। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার আবেদন করে ৩৫০ জন দাগি প্রার্থী এবার আদালতের দ্বারস্থ হল। আবেদনে উল্লেখ, ডিভিশন বেঞ্চ ‘দাগি’ হিসেবে চিহ্নিত না করলেও, SSC তাঁদের ‘দাগি’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট সকলেই বলেছে ‘দাগি’দের ক্যাটিগরিতে ভাগ করতে, কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন সেই ভাগ করেনি, হাইকোর্টে সওয়াল করেন মামলাকারীর আইনজীবী।