কলকাতা : বাস্তুশাস্ত্রে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক শক্তির গুরুত্ব রয়েছে যা বাড়ির সদস্যদের প্রভাবিত করে। বাস্তু ত্রুটি দাম্পত্য জীবনেও প্রভাব ফেলে। এ কারণে প্রায়ই সম্পর্কের অবনতি হয়।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নির্ভর করে ভালবাসা, বিশ্বাস ও পারস্পরিক সম্মানের ওপর। এই সম্পর্ক যত মজবুত হবে, জীবন ততই হাসিখুশিতে ভরে উঠবে। বাস্তুর কিছু নিয়ম মেনে দাম্পত্য জীবন সুখ-আনন্দে ভরিয়ে তোলা যায়।
বিবাহিত জীবনের জন্য বাস্তুর পরামর্শ -
স্বামী-স্ত্রীর বেডরুম দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে থাকা শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিকটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম-ভালবাসা বাড়ায়। এ ছাড়া বিছানার বিশেষ যত্ন নিন। বিছানা লোহা বা অন্য কোনও ধাতু দিয়ে তৈরি করা উচিত নয়। স্বামী-স্ত্রীর সবসময় শুধু কাঠের বিছানা ব্যবহার করা উচিত। এতে দাম্পত্য জীবন ভাল থাকে।
বাস্তু মতে স্বামী-স্ত্রীর বেডরুমে ফুলের পাত্র রাখা উচিত। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা বাড়ে। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই একসঙ্গে এই পাত্রের যত্ন নেওয়া উচিত। এটি পরিষ্কার করলে দাম্পত্য জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।
শোওয়ার ঘরে কখনোই আয়না রাখা উচিত নয়। এতে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ে। আয়না থাকলেও মনে রাখবেন সকালে ঘুম থেকে উঠে সরাসরি তার দিকে তাকাবেন না।
স্বামী-স্ত্রী ঘুমানোর জন্য যে বিছানা ব্যবহার করেন তাতে সবসময় একটিমাত্র গদি থাকা উচিত। বিছানা যদি ডাবল বেডের হয় তবে ডাবল বেডের গদি বিছিয়ে দিন। এটা মনে করা হয় যে, দু'টি গদিযুক্ত বিছানায় ঘুমালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।
শোওয়ার ঘরের দেওয়াল সবসময় হালকা রঙে রাঙাতে হবে। বিবাহিতদের ঘরে আলো ভাল রাখতে হবে। ঘর সবসময় সুগন্ধি রাখতে হবে। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা বাড়ে এবং এক নতুন শক্তির সঞ্চার হয়।
যে ঘরে দম্পতি ঘুমান সেই ঘরে নোনা জল দিয়ে মুছতে হবে। লবণ দিয়ে ঘষলে নেতিবাচক শক্তি নষ্ট হয়। বেডরুমে কখনোই জাল তৈরি হতে দেবেন না কারণ এটি নেতিবাচকতা নিয়ে আসে।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, স্ত্রীর সর্বদা বাঁ দিকে ঘুমানো উচিত এবং স্বামীর সর্বদা ডান দিকে ঘুমানো উচিত। এতে দাম্পত্য জীবনের টানাপড়েন দূর হয় এবং স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মজবুত হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে